জাতীয়

আজও চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

কাঠ ফাটা রোদ উপেক্ষা করে ঈদের তৃতীয় দিনেও জাতীয় চিড়িয়াখানায় ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের ধারণা ঈদ পরবর্তী চার-পাঁচ দিন এই ভিড় অব্যাহত থাকবে।

Advertisement

রাজধানী সংলঘ্ন ইছাপুরা থেকে জিরাপ আর সিংহ দেখতে বাবা ও মায়ের সঙ্গে এসেছেন শিশু তাবাসসুম-সোহানা। তাদের বাবা রায়হান জাগো নিউজকে বলেন, চিড়িয়াখানায় আরও একবার এসেছিল তারা। ওদিন বৃষ্টির কারণে বেশি সময় দেখতে পারিনি। আজ বৃষ্টি নেই, তাই জিরাপ-সিংহ দেখার পর পুরো চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখাবো।

অনেকে আবার বাঘের মতো ‘হালুম হালুম’ গর্জন করছিলেন। বাঘটি অবশ্য একবারের জন্য মুখ না তোলায় অনেক দর্শক হতাশ ফিরে যান। বাঘের খাঁচার সামনে কথা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে আাসা আজমির ও সাদিয়ার সঙ্গে। তারা জানান, আনন্দ উপভোগের জন্য বেলা ২টায় দর্শনার্থীর প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে মিরপুরের এই চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেছি।

তারা জানান, জিরাফের খাঁচার সামনে উৎসুক দর্শনার্থীদের ভিড় দেখে বাঘের খাঁচার সামনে চলে আসি, এসে দেখি এখানেও ভিড়। যাবো কোথায়?

Advertisement

আজমির বলেন, আগামীকাল সোমবার থেকে অফিস। হাতে সময় নেই। ঢাকার বাইরে না গিয়ে চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন প্রজাতির সুন্দর ও বৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণী দেখতে এলাম। এগুলো দেখার আনন্দই অন্য রকম। তবে গরমের কারণে অনেকটা বিরক্তও লাগছে। করার কিছু নেই বিড়ম্বনা মেনেই ঘুরে বেড়াচ্ছি চিড়িয়াখানায়।

চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের দিন থেকে প্রত্যাশার চাইতেও বেশি দর্শনার্থী আসছেন। গড়ে প্রায় ৫০ হাজার দর্শনার্থী আসছেন। চিড়িয়াখানায় অনেক প্রাণীর প্রজনন হয়েছে। তার মধ্যে জেব্রা, জিরাফ, ইমপাল, ৪০টি ইমু পাখির বাচ্চা, গয়াল, মায়া হরিণ, চিতা হরিণ, ময়ূর, লাভ বার্ডসহ কয়েকটি প্রাণী।

আরএম/জেএইচ/এমএস

Advertisement