ধু ধু নদী চরে মাছ চাষ করে রীতিমত হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম পুরাতন বাখরবাদের রাকিবুল ইসলাম সাগর। বর্তমানে সাগরকে অনুসরণ করে আরও ৩ যুবক এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছেন।
Advertisement
সাগর জানান, প্রথমে পুকুর লিজ নিয়ে কৈ মাছের চাষ করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে লোকসানের শিকার হয়ে পুঁজি পর্যন্ত হারান। তাই নতুন কোনো পদ্ধতি খুঁজতে থাকেন তিনি। মাছ চাষে দীর্ঘ ৫ বছরের বেশি সময় তিনি গবেষণা চালিয়েছেন। কাটাযুক্ত বাদে সব ধরনের মাছই এভাবে চাষ করা সম্ভব এবং এক কেজি পর্যন্ত মাছের ওজন করা যেতে পারে।
তিনি জানান,পুকুর বা জলাশয় লিজ নিয়ে মাছ চাষ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কিন্তু এ পদ্ধতিতে কোনো ঝুঁকি নেই। বড় ধরনের পুঁজি, অর্থ বা জমিরও দরকার পড়ে না এভাবে মাছ চাষ করতে। তাতে করে খরচও অনেক কম হয়। গত বছর ১টি বেড তৈরি করে ৫ হাজার টাকার মাছ ছেড়ে ৩ মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করেছিলেন। আর এবার ৪টি বেডে শুরু হয়েছে বালুতে মাছের এমন চাষ।
সাগর বলেন, নদীতে বর্ষাকালে পানি ভরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কমপক্ষে ৩ মাস আর জেগে ওঠা চরগুলোতে ৭-৮ মাসের বেশি সময় এভাবে চাষ সম্ভব। কিন্তু মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে বালুতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে পতিত, ডুবোচর ও জেগে ওঠা ধু ধু বালুচরে তেলাপিয়া, জাপানি পুঁটি, চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে ভাল লাভবান হওয়া যায়।
Advertisement
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, এটা উদ্ভাবনী চিন্তা। এ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে মাছ চাষে বিল্পব ঘটানো সম্ভব। শুধুমাত্র কিছু সম্পূরক খাদ্য দিয়ে জমি, পুকুর, জলাশয় বা বড় ধরনের বিনিয়োগ ছাড়াই এ প্রক্রিয়ায় মাছের চাষ করা সম্ভব।
আহমেদ নাসিম আনসারী/এফএ/জেআইএম