জাতীয়

সংসদ দেখিয়ে বছরে আয় ৩ লাখ

লুই আই কানের অনন্য স্থাপত্য জাতীয় সংসদ ভবন দর্শনার্থীদের দেখিয়ে ২০১৬ সালে আয় হয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার ১০০ টাকা। একই সময়ে সংসদ ভবনের শপথ কক্ষ এবং মন্ত্রি হোস্টেলের আইপিডি কনফারেন্স কক্ষ, সংসদীয় বিভিন্ন কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দিয়ে আয় হয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ।

Advertisement

জাতীয় সংসদের ভিজিট শাখা সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি বিগত ২০১৬ সালের দর্শনার্থীদের একটি হিসাব চূড়ান্ত করেছে শাখাটি। ওই হিসাব অনুযায়ী সংসদের বিভিন্ন দর্শনীয় ও মনমুগ্ধকর জায়গা এবং কক্ষ দেখতে দেশি-বিদেশি ৫ হাজার ৬৭৩ জন সেখানে গেছেন। এদের অধিকাংশই গ্রুপ ট্যুর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিফ হুইপ আসম ফিরোজ রোববার জাগো নিউজকে বলেন, সংসদ ভবনের গুরুত্ব ও স্থাপত্যকলা দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই আসেন। আমরা তাদের সব সময় উৎসাহ দেই। তবে বিশেষ কারণে সংসদের ভেতরে ছবি তোলা নিষিদ্ধ। তাই কাউকে ভেতরের ছবি তোলার অনুমতি দেয়া হয় না।

Advertisement

জানা যায়, এমপি, মন্ত্রী কিংবা সংসদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে দেখা করতে হলে কোনো ভিজিট ফি দিতে হয় না। এই ধরনের দর্শনার্থীরা সংসদে যার সঙ্গে দেখা করবেন তার সুপারিশ নিয়ে ভেতরে ঢুকতে পারেন। তবে তারা সব জায়গায় যেতে পারেন না।

আর সংসদ ভিজিট শাখাকে অবহিত করে পরিদর্শনের কমপক্ষে ৩ দিন আগে যারা ভবন পরিদর্শনের আবেদন করেন তারা পরিকল্পিত ভিজিটের আওতায় পড়েন। বাংলাদেশী দর্শনার্থীদের জন্য টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা। বিদেশিদের ক্ষেত্রে ১০ ইউ এস ডলার কিংবা সমপরিমাণ টাকা। ১ম শ্রেণি থেকে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রবেশ ফি প্রযোজ্য হবে না। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিকল্পিত ভিজিটের আওতাভুক্ত হতে হবে।

এ ধরনের পরিদর্শকরা মিনিষ্টার হোষ্টেল, সংসদের দক্ষিণ প্লাজা, দক্ষিণ প্লাজার উপর দিয়ে সংসদ ভবন প্রবেশ (লেভেল -৩), লেভেল -৩ প্রদক্ষিণ, চেম্বার অ্যাসেম্বলি হাউজ, নর্থ প্লাজা, মসজিদ, এসআইএস রুম, কমিটি কক্ষ (যেখানে সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়), শপথ কক্ষ (এমপিরা যেখানে শপথ নেন), গ্রন্থাগার, প্রধান ফটক (লেভেল -১) দিয়ে বাহির হয়ে ১/১ মিনিষ্টার হোষ্টেল দেখার সুযোগ পান।

জানা যায়, বিগত ২০১৬ সালে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংগঠনের মোট ৫ হাজার ৬৭৩ জনকে সংসদ ভবন ও সংসদ অধিবেশন দর্শন করানোর পাশাপাশি সংসদের ইতিহাস ও কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফিং করা হয়। এছাড়া বিদেশি দর্শনার্থীদের ফি’ বাবদ সংসদ ভিজিট শাখার মাধ্যমে ওই বছর মোট ২ লাখ ৯০ হাজার ১ শ’ টাকা আয় হয়। পরে এসব টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়।

Advertisement

সংসদের ভিজিট শাখার কর্মকর্তা উপ-সচিব রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বিদেশ থেকে আসা দর্শনার্থীদের অধিকাংশই স্থাপত্যকলার শিক্ষার্থী বা গবেষক। তারা মূলত সংসদ ভবনের নির্মাণশৈলী নিয়ে গবেষণা করেন।

এইচএস/এমএমজেড/জেআইএম