মহাসড়কে সিএনজি-অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে চালক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে কমপক্ষে ২০টি যানবাহন।সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কয়েকবার ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১০টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ করে সিএনজি অটোরিকশা চালকেরা। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় সাইনবোর্ড এলাকায় মিছিল বের করে বিক্ষোভ দেখিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে সিএনজি চালকেরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনার ঘটে। চালকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে পাল্টা অ্যাকশনে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ-চালকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। এ সময় কমপক্ষে ২০টি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে জানান, সাইনবোর্ড এলাকাতে সিএনজি চালকেরা গাড়ি ভাঙচুর করতে গেলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে এখন সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।শাহাদাৎ হোসেন/এআরএ/এমএস
Advertisement