যশোরের বেনাপোলে শারমিন আক্তার সীমা (২৪) নামে সাত মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে পুলিশ ওই গৃহবধূর মরদেহ স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে।
Advertisement
নিহত শারমিন বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম সর্দারের মেয়ে ও টার্মিনাল পাড়ার নাজমুল হোসেনের স্ত্রী। নাজমুল হোসেন একই এলাকার টার্মিনালপাড়ার আক্তারের ছেলে।
নিহত শারমিনের স্বজনরা জানান, সাত বছর আগে বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামের আক্তারের ছেলে নাজমুলের সঙ্গে শারমিন আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী নাজমুলের পরকীয়ার বাধা দেয়ায় তাকে ব্যাপক নির্যাতন করতো স্বামী। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে ও গ্রাম্য শালিসে বহুবার মীমাংসা করা হয়েছে। এর মধ্যে শারমিন কন্যা সন্তানের মা হলে তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে শারমিন তার স্বামীর অনেক নির্যাতন সহ্য করতো।
নির্যাতনের একপর্যায়ে বাবার বাড়িতে এক বছর আগে চলে আসে শারমিন। পরে স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বাড়িতে নিয়ে যায় নাজমুল। কিন্তু পরকীয়ার কারণে আবারও তার উপর ব্যাপক নির্যাতন করতে থাকে নাজমুল। শনিবার ভোরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ ঘরের আড়ার সাথে সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।
Advertisement
শারমিনের বাবা শফিকুল সর্দার জানান, ঈদের দিন সকালে জামাইয়ের পরিবারের সবাইকে বাড়ি থেকে বের হতে দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। পরে তারা ঘরে গিয়ে তার মেয়ের মরদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে তাদের খবর দেয়। তার শরীরে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। তার মেয়েকে জামাইসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
জামাল হোসেন/আরএআর/পিআর
Advertisement