খেলাধুলা

কঠোর পরিশ্রমের ফসল : রোনালদো

বিশ্বকাপ তারকা তৈরি করে। আবার তুমুর তারকাখ্যাতি নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে এসে পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়ারও নজির রয়েছে ভুরি ভুরি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বিশ্বসেরা ফুটবলার হতে পারেন; কিন্তু তিনি এমন এক দেশের ফুটবলার, যে দেশটিকে বিশ্বকাপে কোনোভাবেই ফেবারিটের তালিকায় রাখে না কেউ। তবুও, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে সবাইকে তিনি মুগ্ধ করে তুলবেন, ভক্তদের এটাই প্রত্যাশা।

Advertisement

কিন্তু বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে স্পেনের মত প্রবল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে রোনালদো যেভাবে নিজেকে প্রদর্শণ করলেন, যেভাবে জ্বলে উঠলেন প্রথম ম্যাচে, তা রীতিমত বিস্ময়কর। ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশার সীমাকে ছাড়িয়ে গেছে কয়েকগুণ। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করে বসলেন তিনি। ক্লাব ফুটবলে যেমন তিনি একের পর এক গোল করে বেড়ান, ঠিক তেমনি বিশ্বকাপে এসে ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন।

প্রথম গোলটা পেনাল্টি থেকে করলেও, সেই পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছিলেন তিনি। তাকে থামাকেই ডি বক্সের ভেতর সিআর সেভেনকে ফাউল করে বসেছিলেন স্পেনের নাচো এবং পিকে। দ্বিতীয় গোলটিতে অনেকেই ডি গিয়ার ভুল খুঁজে পান। কিন্তু ডি গিয়া নিজেও স্বীকার করেছেন, বলটি ছিলো খুবই কঠিন। কিকের গতি এতটাই ছিল যে, সেটাকে ডি গিয়া ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি। আর শেষের ফ্রি কিক তো ভক্তদের চোখে লেগে থাকার কথা। এমন অসাধারণ ফ্রি কিক শুধু বিশ্বসেরা ফুটবলারদের পা থেকেই মানায়। এবারের বিশ্বকাপের ট্রেড মার্ক হয়ে থাকবে এই ফ্রি-কিকটি।

ম্যাচ শেষে এমন অসাধারণ পারফরম্যান্সের রহস্যের কথা নিজেই জানান রোনালদো। তিনি জানিয়ে দেন, কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক যে পরিশ্রম করে এসেছেন তারই ফসল এটা। টানা চারটি বিশ্বকাপে গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তিনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে তার আগে মাত্র তিনজন ফুটবলার চারটি বিশ্বকাপে গোল করেছেন।

Advertisement

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে রোনালদো বলেন, ‘এটা হচ্ছে গত কয়েক বছরে কঠোর পরিশ্রমের ফসল। আমি সব সময়ই নিজের ওপর বিশ্বাস রাখি। আমরা ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করেছি এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হারিনি। স্পেনও অনেক সুযোগ তৈরি করেছে। তবে, ফলটা আমাদের জন্যই সবচেয়ে ভালো ছিল।’

রোনালদোর তিন গোলই ছিল মহা গুরুত্বপূর্ণ। তবে তার কাছে হ্যাটট্রিকের চেয়ে ফলটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। কারণ, বিশ্বকাপে এটা আমার প্রথম হ্যাটট্রিক। আমরা বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট স্পেনের সঙ্গে ড্র করেছি। আমরা খুবই খুশি যে, শেষ মুহূর্তে ড্র করেছি।’

আইএইচএস/এমএস

Advertisement