টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্লাবিত মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলার শতাধিক গ্রামে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার দিবাগত রাতে মৌলভীবাজার শহর রক্ষা বাঁধ পর্যবেক্ষণ করেছে সিলেট থেকে আসা সেনাবাহিনীর ৬ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ টিম। এই বিশেষজ্ঞ টিমটি শহর রক্ষা বাধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন। এ সময় উপস্থিন ছিলেন জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম, পুলিশ সুপার শাহ জালাল, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান,পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী পার্থ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
Advertisement
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জাগো নিউজকে জানান, বিশেষজ্ঞ টিমটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ দেখে আবার সিলেটের গেছেন। শনিবার দুপুর থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬০ সদ্যসের একটি টিম শহর রক্ষা বাঁধ রক্ষায় কাজ করবে।
এ দিকে শুক্রবার বিকেল থেকে রাজনগর ও কুলাউড়ায় প্লাবিত এলকায় সেনাবাহিনী উদ্বার তৎপরতা কার্যক্রম শুর করেছে।
রাজনগরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল আপ্তাব এবং ক্যাপ্টেন আশরাফের নেতৃত্বে উপজেলায় প্লাবিত এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে কাজ শুরু করে সেনাবাহিনীর ৩৫ সদস্যের একটি টিম। রাজনগর কলেজে অস্থায়ী ক্যাম্প করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেম রাজগনর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসি আক্তার।
Advertisement
অন্যদিকে শুক্রবার বিকেলে মনু নদের কদমহাটা এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে রাজনগর উপজেলার আরো কয়েকটি এলাকা। রাজনগরে প্লাবিত গ্রামের সংখ্যা অন্তত ৬০টি, মনু নদে যত পানি বাড়ছে ততই প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা।
এদিকে কুলাউড়া উপজেলায় প্লাবিত ৬০টি গ্রামের পাশাপাশি মনু নদের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কুলাউড়ার হাজিপুর ইউনিয়নে সেনাবাহিনী একটি অস্থায়ী ক্যাম্প করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম জানান, কুলাউড়া ও রাজনগরে সেনাবাহিনী প্লাবিত এলাকায় কাজ করতে যোগ দিয়েছে।
Advertisement