পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফরিদপুরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে আয়োজনের কমতি নেই। ঈদের আনন্দকে শহরবাসীর জন্য পরিপূর্ণ করে তুলতে জেলার বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
Advertisement
প্রতিবছরের মতো এ বছরও ঈদকে সামনে রেখে বাড়তি কিছু প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ঈদ উৎসবে শহরবাসীর আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে বিনোদন কেন্দ্রগুলো আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন ইভেন্ট রং করা, বাড়তি আলোকসজ্জা, ছোটখাটো ত্রুটি ঠিক করা হয়েছে। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ হয়েছে। নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বৃহত্তর ফরিদপুরের একমাত্র পার্ক শহরের পৌর শেখ রাসেল শিশু পার্ক বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। ছোট-বড় সব বিনোদন পিয়াসীদের কাছে বছর জুড়েই এ পার্কটি থাকে আগ্রহের কেন্দ্রে। ঈদ উপলক্ষে পার্কটি ঈদের তিন দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
এদিকে শহরের পদ্মার তীর সংলগ্ন ধলার মোড়, টেপাখোলার স্লুইচ গেট, সোহরাওয়ার্দী সরোবর লেক, রাজেন্দ্র কলেজ ক্যাম্পাস, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট, পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের বাড়ি, আরামবাগ বিনোদন কেন্দ্রে বিনোদন প্রেমীদের পদভারে মুখরিত থাকবে ঈদের দিনগুলো।
Advertisement
ফরিদপুরের শিশু সংগঠন চাঁদের হাটের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন তিতু বলেন, শেখ রাসেল শিশু পার্কটি বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। শিশুদের খুব পছন্দের স্থান এই শিশু পার্কটি। ঈদে সবাই খুব মজা করবে সেখানে গিয়ে।
পৌর শেখ রাসেল শিশু পার্কের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মানোয়ার হোসেন তপু জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শিশু পার্কে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে রয়েছে প্যারাসুট, সুপার জ্যাক, বাম্পার কার্ড, থ্রিডি গেমস, শিশুদের চিড়িয়াখানা, ওয়াটার বোস্টার, ফ্যামেলি গেমসসহ নানা আয়োজন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, জনপ্রতি প্রবেশ ফি ৭০ টাকা সঙ্গে চিড়িয়াখানা দেখতে পারবে। এছাড়া প্রতি রাইড ৪০ টাকা। ১৮টি রাইড রয়েছে এখানে। বৃহত্তর ফরিদপুরের মধ্যে এটিই একমাত্র শিশু পার্ক। ঈদের ছুটিতে সর্বস্তরের মানুষের পদভারে মুখর থাকবে শিশু পার্কটি।
আরএআর/এমএস
Advertisement