নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করলো বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা। হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রেও তাই। ঝকঝকে রোদে প্রাণবন্ত সকালে হোটেল থেকে এসে মাঠে নামার আগে শুনলেন আজ আর খেলা হবেনা। স্বভাবতই অবাক হয়ে যান বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। অথচ দক্ষিণ আফ্রিকার মত দলের বিপক্ষে বোলিং করে বোলারদের কিছুটা ঝালিয়ে নিতে চেয়েছিলেন এই টাইগার অধিনায়ক।বাংলাদেশ অধিনায়ক মাঠে এসে ওয়ার্ম আপের আগে জানতে পারেন পঞ্চম দিনের খেলা পরিত্যক্ত করে ড্র ঘোষণা করেছে এই টেস্ট। নতুন এই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা ওয়ার্ম আপের আগেই শুনতেই পাই। পঞ্চম দিন হয়তো আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি বা ম্যাচ অফিসিয়াল যারা থাকেন তাদের সিদ্ধান্ত থাকে। সেদিক থেকে এটা আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা, এর আগে কখনও এমন পরিস্থিতিতে পরিনি।’ড্র ঘোষণার আগে ম্যাচ অফিসিয়ালরা জানতে চাননি মুশফিকের মতামত। তাই স্বভাবতই আক্ষেপ ঝরে পড়ে মুশফিকের কণ্ঠে। বলেন, ‘দুই দলের কাউকে জিজ্ঞেসও করা হয়নি। আমি যতদূর জানি, ম্যাচ অফিসিয়ালরাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’প্রকৃতির উপর কারো হাত নেই। কিন্তু মাঠের উপর হাত আছে কর্মকর্তাদের। ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করা হলে অল্প সময়ে মাঠ খেলার উপযোগী করা যায়। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়ক হাশিম আমলা জানালেন তাদের দেশে খেলা হলে পরিত্যক্ত দিনেও হেলিকপ্টার অথবা উন্নত কিছু দিয়ে প্রতিদিন মাঠ শুকানোর ব্যবস্থা করা হত। কিন্তু তেমন কোন পথে হাঁটেননি বাংলাদেশের ক্রিকেটকর্তারা। তাই ফলাফল যাই হোক বেশ কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন থেকে বঞ্চিত হলেন টাইগাররা।আরটি/এমআর
Advertisement