মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) কম সক্রিয় হওয়ায় আগামী দু’দিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এর ফলে ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে ভ্যাপসা গরম পড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তাই ঈদের আনন্দ বৃষ্টি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্ক না থাকলেও গরম যে আনন্দ ধারায় বাঁধ সাধবে সেটা অনেকটাই নিশ্চিত।
Advertisement
আজ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে শনিবার দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে। চাঁদ দেখা না গেলে ঈদ হবে রোববার।
শুক্রবার আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জাগো নিউজকে বলেন, ‘মৌসুমী বায়ু এখন দেশের উপর মোটামুটি সক্রিয়। তাই আগামী ২-৩ দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘এ সময়ে সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকায় ছিটেফোঁট বৃষ্টি হতে পারে, অন্যান্য স্থানে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্কই থাকবে। ভ্যাপসা গরমের এই অস্বস্তি আগামী দু’দিনে আরও বাড়বে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে অস্বস্তি থাকবে।’
Advertisement
আগামী ১৯ জুন থেকে আবার বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
মসজিদ ছাড়াও ঈদের জামাতগুলো হয় খোলা আকাশের নিচে ঈদগাঁয়ে। তাই ঈদের দিন বৃষ্টি হলে দুর্ভোগে পড়বেন মুসল্লিরা। শুক্রবার আষাঢ় মাসের ১ তারিখ। আষাঢ়-শ্রাবণ এ দুমাস বর্ষা ঋতু।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া তা পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিস্তার লাভ করতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঢাকা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Advertisement
বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তিতে নগরবাসী। ঢাকার আকাশ সকালে থেকেই মেঘে ঢাকা।
শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে ১৪১ মিলিমিটার।
অন্যদিকে সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতিতে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ু উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় আছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করারও পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
আরএমএম/জেএইচ/এমএস