জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীত পাশের সড়কে ঈদের জামায়াত আদায় করবেন এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। ঈদ জামায়াতের পর তারা ভুখা (মিষ্টি মুখে না দেয়া) মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার ৬ষ্ঠ দিনের আন্দোলন কর্মসূচীতে শিক্ষক নেতারা এ ঘোষণা দেন।
Advertisement
নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, বেতন না পাওয়ায় তারা রাজপথে ঈদ করবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এমপিওভুক্তিকরণ হচ্ছে ততক্ষণ আমরা রাজপথ ছাড়বো না। তিনি বলেন, আমাদের টাকা নেই, ঈদও নেই। তাই প্রেস ক্লাবের বিপরীত পাশের সড়কে গত ৬দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছি। কাল (শনিবার) রাস্তায় ঈদের নামাজ আদায় করবো। এর পরে আমরা ভুখা মিছিল বের করবো।
আন্দোনকারী শিক্ষকরা বলেন, আমাদের পরিবার সন্তান ছেড়ে বাধ্য হয়ে রাস্তায় বসে ঈদ করতে হচ্ছে। শিক্ষাকতা করে আমরা পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছি না। সন্তানদের পড়ালেখার খরচ জোগাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। বাবা-মায়ের চিকিৎসা খরচ জোগানো সম্ভব হচ্ছে না।
তারা বলেন, আমরা মানুষ গড়ার হাতিয়ার হিসেবে কাজ করলেও অর্থ না থাকায় সমাজে আমাদের কেউ মূল্যায়ন করে না। তাই বাধ্য হয়ে ঢাকায় এসে এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন।
Advertisement
শিক্ষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভুষন রায় জাগো নিউজকে বলেন, নীতিমালার কথা বলে এমপিওভুক্তি প্রলম্বিত করা যাবে না। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত যতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পেয়েছে এমন ৫ হাজার ২৪২টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির পর তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এর আগে এটি বাস্তবায়ন করা যাবে না।
তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হঠাৎ করে এমন নীতিমালা জারি করে আমাদের এমপিওভুক্তি থেকে বঞ্চিত রাখার চেষ্টা করছে। যেহেতু আমরা ১৫ থেকে ২০ বছর আগেই সরকারি সব শর্ত পূরণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি পেয়েছি এবং সব শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাই নতুন করে কোনো আইন বা নীতিমালার তোপে তাদের আটকিয়ে রাখা যাবে না।
উল্লেখ্য, গত রোববার থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে ননএমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন। শুরু থেকেই পুলিশ তাদের বাঁধা সৃষ্টি করায় প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী বাধ্য হয়ে প্রেস ক্লাব মূল সড়কের বিপরীত পাশে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানেও পুলিশ তাদের ঘিরে রেখেছে। পুলিশি বাঁধায় তারা অবরূদ্ধ রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
এমএইচএম/এমএমজেড/পিআর
Advertisement