দেশজুড়ে

ঈদের ছুটিতে ৩ দিনের জন্য বন্ধ বেনাপোল

পবিত্র ঈদ উল ফিতরের ছুটির কারণে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি। এরফলে সীমান্তের দুই পাশের ট্রাকজট আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। তবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

Advertisement

বন্দর, কাস্টমস ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে কাস্টমস ও বন্দরের কাজকর্ম ঢিলেঢালা হয়ে গেছে। ঈদের ৩ দিন আগে ও পরে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল সরকারিভাবে বন্ধ থাকায় বন্দর থেকে কোনো পণ্য লোড হয়নি। অনেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বেনাপোল ত্যাগ করেছেন। ফাঁকা হয়ে পড়েছে বেনাপোল বন্দর এলাকা।

প্রতিদিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ পণ্য বোঝাই ট্রাক আসে ভারত থেকে। আর বাংলাদেশ থেকে দেড়শ থেকে দুইশ ট্রাক পণ্য যায় ভারতে। এ ছাড়াও শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচা মালামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। একটানা ৩ দিন বন্ধ থাকার পর ১৮ জুন সকাল থেকে আমদানি-রফতানি চালু হলে সৃষ্টি হবে পণ্যজটের।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, বেনাপোলের মতোই পেট্রাপোলেও ট্রাকজট রয়েছে। বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও বনগাঁও টার্মিনালে কয়েক হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক অপেক্ষা করছে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায়। ছুটির কারণে এসব পণ্য পেট্রাপোল থেকে বেনাপোল বন্দরে ঢুকবে ছুটি শেষে। এতে পেট্রাপোল বন্দরসহ বেনাপোল বন্দর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হবে।

Advertisement

বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বন্ধ হয়ে গেছে বেনাপোল-পেট্রাপোলের মধ্যে আমদানি-রফতানি। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি, শনিবার ঈদ উল ফিতর ও রোববার ঈদের ছুটির কারণে কাস্টম ও বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। অনেক আমদানিকারক ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে দেশের বাড়িতে চলে গেছেন। আগামী সোমবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চলবে বলে তিনি জানান।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বলেন, সোমবার সকাল থেকে বন্দরের কাজকর্ম আবার শুরু হবে। দেশের ৯০ ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। এই কারণে বন্দরে সবসময় পণ্যজট লেগেই থাকে। বন্দর খুললে পণ্য জটের সম্ভাবনা রয়েছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত। এ সময় একটু বেশি ভিড় হয়ে তাকে। সে কারণে ইমিগ্রেশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।

জামাল হোসেন/এফএ/জেআইএম

Advertisement