জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে ওয়ান স্টপ ইনফরমেশন সেন্টার চালু হয়েছে। জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে মানুষের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি এর নানাবিধ কার্যক্রম সম্পর্কে নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য উপাত্ত প্রদানের লক্ষ্যে সম্প্রতি ওয়ান স্টপ ইনফরমেশন সেন্টার চালু হয়েছে। ১৯৫৩ সাল থেকে মহাখালীর এ প্রতিষ্ঠানটিতে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানাবিধ গণমুখি কার্যক্রম পরিচালিত হলেও দেশের সাধারণ মানুষ এর কার্যক্রম সম্পর্কে বেশি কিছু জানেন না।রোববার বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে নীচতলায় ইন্সটিটিউট পরিচালকের কক্ষের অদূরে করিডোরে উঁচু সিলিংয়ে বড় হরফে তথ্যপ্রচার লেখা বিলবোর্ড ও এর নীচে বড় টিভি স্ত্রিন বসানো হয়েছে। মনিটরে (ডিসপ্লে বোর্ড) ধারাবাহিকভাবে ইন্সটিটিউটের স্যালাইন, ব্লাডব্যাগ, ট্রান্সফিউশন ও ইনফিউশন সেটসহ কি কি পণ্য কখন কোথায় কি পরিমাণ উৎপাদন ও ল্যাবরেটরিতে কোন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় সে সম্পর্কিত তথ্য উপাত্ত ভেসে ওঠছে।ইন্সটিটিউটের পরিচালক ডা. মো. জাফর উল্ল্যাহ জাগো নিউজকে বলেন, সাধারণ মানুষকে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত নিয়মিত সরবরাহ করার মাধ্যমে সচেতন করে তুলতে ওয়ান স্টপ ইনফরমেশন সেন্টার চালু হয়েছে। এ ইন্সটিটিউট দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সারাদেশে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে শুধুমাত্র এ প্রতিষ্ঠানটিতে ব্লাড ব্যাগ তৈরি হয়। হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগীর জন্য অত্যাবশ্যক ৩ শতাংশ স্যালাইন শুধুমাত্র এখানে উৎপাদিত হয়। ন্যাশনাল ফুড সেইফটি ল্যাবরেটরি (এনএফএসএল) ও পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য, পানি ও রাসায়নিক সামগ্রী পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। এছাড়া ২৩ ধরনের রি-এজেন্ট উৎপাদিত হয়। এছাড়া মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরি ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইউনিটে বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রচার প্রচারণার অভাবে সাধারন মানুষ এসব তথ্য জানেন না। গণমাধ্যম কর্মীরা অনেক সময় প্রতিবেদন তৈরির জন্য হালনাগাদসহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য উপাত্ত চেয়ে থাকেন। তাদের কাছে অনেক সময় তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য উপাত্ত সরবরাহ করা যায় না। এ লক্ষ্যেই এ তথ্যপ্রচার ডিসপ্লে বোর্ড লাগানো হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এর হালনাগাদ কার্যক্রম দেখা যাবে। সেখান থেকে যে কেউ প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে খুব সহজেই জানতে পারবেন বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে ডিসপ্লে বোর্ডে প্রতিষ্ঠানটি কোথায়, কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, প্রতিষ্ঠান প্রধান কে, প্রধাণ শাখার সংখ্যা ও ল্যাবরেটরি কয়টি সে সম্পর্কে তথ্য ভেসে ওঠছে। ধারবাহিকভাবে ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ওআরএস স্যালাইন, ইন্ট্রাভেনাস ফ্লুইড স্যালাইন (গ্লকোজ,গ্লকোজ অ্যাকুয়া,নরমাল,কলেরা, পিডিইফ্লুইড,৩%নরমাল, বেবী স্যালাইন, হেমোডায়ালাইসিস ফ্লুইড, হাটর্সম্যান সলিউশন), ব্লাড ব্যাগ ও পেস্টিসাইড ও ফরমালডিহাইডসহ ৫০ প্রকারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে বাহবে সেই সম্পর্কিত তথ্যউপাত্ত ভেসে আসছে। জানা গেছে, কোন কোন খাবার ও ফলমূলে পরীক্ষা নিরীক্ষায় ভেজাল ও নকল পাওয়া গেছে সে সম্পর্কে রিপোর্ট মনিটরিং এ প্রদর্শন করা হবে। জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের উপ-পরিচালক জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে চালু না হলেও ওয়ান স্টপ ইনফরমেশন সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। গণমুখি এ প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ মানুষ এখন থেকে হালনাগাদ তথ্য উপাত্ত পাবেন। এমইউ/এসকেডি/এআরএস/এমএস
Advertisement