সারা বিশ্বের সবগুলো পথ এসে মিশে গেছে যেন রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে। চার বছরের অধীর অপেক্ষা, রেড স্কয়ারে চলতে থাকা ঘড়িটির কাঁটা ধীরে ধীরে এসে মিশে যাচ্ছে শূন্যের ঘরে। তার আগে লুঝনিকি স্টেডিয়ামে হয়ে গেলো বিশ্বকাপের বর্ণিল উদ্বোধন।
Advertisement
যেখানে আধুনিকতার সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে রাশিয়ার সমাজ, সংস্কৃতি এবং রূপকথার সমাহার। সর্বশেষ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনোর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে উম্মোচিত হয়ে গেলো, দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ, রাশিয়া বিশ্বকাপের।
বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় শুরু হয় বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসরের এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। লুঝনিকি স্টেডিয়িামের অনুষ্ঠানের পুরো মঞ্চটিই তৈরি করা হয়েছিল ফুটবলের আদলে।
ফুটবল খচিত মঞ্চে শুরুতেই পুরো স্টেডিয়াম কাঁপাতে আসেন আসবেন ব্রিটেনের বিখ্যাত পপ স্টার রবি উইলিয়ামস। তার ‘লেট মি এন্টারটেন ইউ’ গানের সাথে সাথে মাঠে প্রবেশ করেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কিংবদন্তী রোনালদো নাজারিও ডি লিমা।
Advertisement
রাশিয়া বিশ্বকাপের মাস্কটের হাত ধরেই মাঠে প্রবেশ করেন দু’বারের বিশ্বজয়ী এ ফুটবলার। ববি উইলিয়ামসের সাথে তাল মেলাতে রূপকথার পাখির ডানায় ভর করে মাঠে প্রবেশ করেন রাশিয়ান বিখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী এইডা গারিফুলিনা।
তবে লুঝনিকিতে উপস্থিত দর্শকদের জন্য এখানেই চমকের শেষ ছিল না। ববি উইলিয়ামস তার ক্যারিয়ারের সেরা দুটো গান ‘ফিল’ আর ‘এঞ্জেলস’ দিয়ে মাতিয়ে রাখেন লুঝনিকির ৮০ হাজার দর্শক-সমর্থকদের।
এরপরই বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ঘোষণা দিতে আসেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। উদ্বোধনী ভাষণের পরই ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো বক্তব্য দিতে ওঠেন মঞ্চে। সমাপনি বক্তব্যে সারা বিশ্বকে বিশ্বকাপকে উপভোগ করার কথা বলেন ফিফা সভাপতি।
তবে বিশ্বকাপের থিম সং ‘লিভ ইট আপ’ নিয়ে পারফর্ম করার কথা থাকলেও মঞ্চে ওঠেননি ছিলেন না উইল স্মিথ বা এরা এস্ত্রাফিরা।
Advertisement
এসএস/আইএইচএস/পিআর