বিভ্রান্তিমূলক কলাম প্রকাশ করে আদালত অবমাননার অভিযোগের ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে আগামী রোববার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ স্বপ্রনোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।সকালে শুনানির শুরুতেই তিন মাসের সময় আবেদন করেন আইনজীবীরা। জনকণ্ঠের পক্ষে তিন মাসের সময় আবেদন করার পর ওই আবেদন খারিজ করে আগামী রোববার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন আদালত। ওই দিন আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন অভিযুক্ত করা হবে সে সংক্রান্ত ব্যাখ্যা হলফনামা আকারে জমা দেয়ার জন্য বলা হয়। এর আগে জনকণ্ঠের পক্ষে সময় আবেদন করেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলনের সঙ্গে ছিলেন এম সোয়েব খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ সময় জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়ও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আইনজীবী সোয়েব খান সাংবাদিকদের বলেন , আজ শুনানিতে জনকণ্ঠের সম্পাদক ও লেখকের পক্ষে আমরা তিন মাসের সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালত তা গ্রহণ না করে আগামী রোববার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। ওই সময়ের মধ্যে আদালত অবমাননার ব্যাখ্যা হলফনামা আকারে দাখিল করার জন্য বলেন আদালত।প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর আপিলের রায়কে কেন্দ্র করে উপসম্পাদকীয় লেখা ও প্রকাশের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে তলব করেছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। আদালত অবমাননার দায়ে কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না-তাদেরকে ৩ আগস্ট হাজির হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। গত ১৬ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠে ‘সাকার পরিবারের তৎপরতা/পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে উপসম্পাদকীয় লিখেন স্বদেশ রায়। ওই লেখায় সাকা চৌধুরীর আপিল মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কথা উল্লেখ করা হয়। # দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদকের শুনানি রোববারএফএইচ/এসকেডি/এমএস
Advertisement