জাতীয়

বিষয়টি জানতাম না, আমাদের ভুল হয়েছে : পারসোনার কানিজ আলমাস

বিদেশি পণ্য বলে রূপসজ্জায় নকল ও ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারের দায়ে গতকাল বিউটিশিয়ান কানিজ আলমাস খানের প্রতিষ্ঠান পারসোনাকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

Advertisement

এ বিষয়ে বুধবার বিকেলে পারসোনার স্বত্বাধিকারী কানিজ আলমাস জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি জানতাম না, আমাদের ভুল হয়েছে।’ এছাড়াও অধিদফতরের পক্ষ থেকে পারসোনার যে নোংরা ছবি দেয়া হয়েছে সেটিকে ‘অন্য পার্লার’ বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘কিছু প্রসাধনীতে খুচরা সর্বোচ্চ মূল্য (এমআরপি) ও আমদানিকারকের স্টিকার না থাকায় এই জরিমানা করা হয়। বিষয়টি জানা ছিল না, আমাদের ভুল হয়েছে। নকল ও ভেজালের অভিযোগ ঠিক না।’

তিনি আরও বলেন, ভোক্তা অধিকার থেকে আমাদের সতর্ক করে জানানো হয়েছে, সব পণ্যে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) ও আমদানিকারকের স্টিকার থাকতে হবে। যেহেতু আগে কখনো তারা আমাদের বিষয়টি জানাননি। এজন্যই এই ধরনের ভুল হয়েছে। আগে যদি জানতাম তাহলে এ বিষয়ে তৈরি থাকতাম।

Advertisement

>>আরও পড়ুন : পারসোনাকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা

‘আমরা যাদের সার্ভিস দেই, ওইসব গ্রাহকের কাছে আমরা দায়বদ্ধ, কমিটেড। আমাদের ২৫ বছরের ব্যবসা। ক্লাইন্টরা দেশের হাই অফিসিয়াল পার্সন। আমাদের (পারসোনা) মতো আরও অনেক পার্লার রয়েছে। তারাও মনে হয় এই বিষয়টি (এমআরপি ও স্টিকার) জানেন না। আমরা কেন তাদের ওই ধরনের সার্ভিস দেবো’- প্রশ্ন করেন পারসোনার স্বত্বাধিকারী।

তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত নিউজে সেসব ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, তা আমাদের না। এটি অন্য কোনো পার্লারের। আমাদের এখানে এত নোংরা পরিবেশ না। প্রশাধনী এত ময়লা নোংরা হয় না। কিন্তু নিউজ হওয়ার পর সকাল থেকেই ক্লাইন্টরা হাসাহাসি করছে। প্রশ্ন করছে, জানতে চাচ্ছে আপনাদের নামে এসব কি নিউজ হচ্ছে?

উল্লেখ, গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডি-২৭ অভিযান চালিয়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয় পারসোনাকে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযান তদারকি করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এবং অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক রজবী নাহার রজনী।

Advertisement

>>আরও পড়ুন : ‘পারসোনায় যাওয়ার আগে দুইবার চিন্তা করুন’

মনজুর শাহরিয়ার বলেন, দেশের নামকরা বিউটি পার্লার পারসোনা রূপসজ্জায় নকল প্রসাধনী ব্যবহার করছে। দেশের তৈরি নকল ও ভেজাল পণ্যকে বিদেশি পণ্য বলে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তারা মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী ব্যবহার করছে যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিষ্ঠানটির ওপর মানুষের রয়েছে আস্থা ও বিশ্বাস। সেই সরলতাকে পুঁজি করেই ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা করছে পারসোনা। বাড়তি মুনাফার লোভে মানুষের স্বাস্থ্য ও ত্বক নিয়ে অবহেলা করছে। এসব অভিযোগে পারসোনা উইমেনকে আড়াই লাখ টাকা এবং পারসোনা ম্যানকে দেড় লাখ টাকাসহ মোট চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

গতকাল সন্ধ্যায় জাগো নিউজে পারসোনার জরিমানার সংবাদটি প্রকাশের পরপরই পারসোনার গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে বনানী-১১ নম্বর সড়কের পারসোনা বিউটি পার্লারে ‘স্পা' করাতে গিয়ে ড্রেসিং রুমে পোশাক পরিবর্তনের পরে কক্ষে সিসিটিভি দেখতে পান এক নারী। পরে এ বিষয়ে তিনি পারসোনা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমে মৌখিক অভিযোগ আনেন। এ ঘটনায় সে সময় সমালোচনার শীর্ষে ছিল পারসোনা।

এমএ/এআর/এসআই/এএসএস/জেএইচ/পিআর