* দেড় ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়লো জেদ্দার ফ্লাইট * নতুন ফ্লাইট, তবু সেবার এই বেহাল দশা* যাত্রীদের ক্ষোভ
Advertisement
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জেদ্দার উদ্দেশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০১৩৫ ফ্লাইটের উড্ডয়নের কথা ছিল। এর পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন ইলিয়াস। কিন্তু যানজটের কারণে তিনি বিমানবন্দরে যথাসময়ে আসতে পারেননি। ফলে দুই শতাধিক যাত্রীকে দেড় ঘণ্টা অনবোর্ড করে রাখা হয়। শেষ খবর পর্যন্ত রাত সাড়ে ৮টায় ফ্লাইটটি উড্ডয়ন করে। চট্টগ্রাম হয়ে রাতেই ফ্লাইটটির জেদ্দা যাবার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ জাগো নিউজকে বলেন, ইফতারের আগমুহূর্তে যানজট রাজধানীর পরিচিত রূপ। পাইলট বাসা থেকে সময়মতোই রওয়ানা দিয়েছিলেন। বিমানবন্দরে ঠিক সময়ে হাজির হতে পারেননি। তাই দেড় ঘণ্টা বিলম্বে ফ্লাটটি রাত সাড়ে ৮টায় শাহজালাল থেকে উড্ডয়ন করে।
ফ্লাইট বিলম্বের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফ্লাইটের যাত্রী বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরিফুল হাসান তার ফেসবুক ওয়ালে দুটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
Advertisement
প্রথম স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘অামি নামবো চট্টগ্রাম। যানজটের সঙ্গে লড়াই করে হন্তদন্ত হয়ে যথাসময়ে বিমানবন্দরে এলাম। বোর্ডিং করার পর জানলাম ফ্লাইট বিলম্বিত। অন্তত অধাঘাণ্টা তো দেরি হবেই। কিন্তু কারণ কী? ৭টায় যেহেতু ফ্লাইট ছাড়ার কথা সব ইফতারির প্যাকেট বিমানে তোলা হয়েছিল। এখন শেষ মুহূর্তে প্লেন থেকে অাবার সব ইফতার নামানো হয়েছে। অাযানের পর তা দেয়া হচ্ছে।লোকজন বোর্ডিং লাইনে দাঁড়িয়ে ইফতার করছে।’
‘সাংবাদিকতা শুরু করলাম। কেন দেরি? খোঁজ নিলে ক্রুরা জানালেন, পাইলট এখনো অাসেননি। ভয়ঙ্কর খবর হলো পাইলট যে যথাসময়ে অাসবেন না সেটা নাকি কাউকে জানাননি। বিমানের ক্রুরাও নাকি জানেন না। বিমানের ক্যাপ্টেনের নাম ইলিয়াস। তবে ক্রুরাও নাকি কেউ কেউ নির্ধিরিত সময়ে অাসেননি। হায়রে দেশ। বিষয়টা হলো, রাষ্টের উড়োজাহাজ বলে নানা সংকটের পরেও সবসময় অামার প্রথম পছন্দ বিমান। কিন্তু তাই বলে এতো দায়িত্বহীনতা? অার ঘণ্টাখানেক দেরি, যাত্রীদের কাউকে কিছু জানাবেন না? একটা ঘোষণাও দেবেন না?’
শরিফুল হাসান আরও লিখেন, ‘অামি না হয় চট্টগ্রাম যাবো। কিন্তু শতশত যাত্রী যাবে জেদ্দা। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে এটা (ফ্লাইট) জেদ্দায় যাবে। ওমরাহর যাত্রী, নারী-শিশু তাদের কথা ভাবুন। এতো বড় বোয়িং। নতুন ফ্লাইট। তবু সেবার এই বেহাল দশা। কেন এ দেশের রেল, বিমান কোটি কোটি টাকা লোকসান করে সেটা বুঝতে জ্ঞানী হওয়া লাগে না। কিন্তু তাই বলে জবাবদিহির কোনো সংস্কৃতি কি থাকবে না?’
এরপর রাত ৮টা ৫ মিনিটে তিনি আরেকটি স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘সর্বশেষ আপডেট হলো এখন রাত আটটা ৫। বিমান ছাড়েনি। তবে আমার স্ট্যাটাস দেখে বিমানের লোকজন যোগাযোগ করেছেন। শুনলাম ক্যাপ্টেন সাহেব যানজটে পড়েছিলেন। মানলাম। আমার কথা হলো পাইলট সাহেব কি সেটা জানিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষকে? বিমান কর্তৃপক্ষ তবে কেন কোনো ঘোষণা দিল না। শতশত যাত্রী, নারী-শিশু যাবে জেদ্দা। তাদের কথা ভাবুন। আরেকটা কথা শত সংকটেও আমি বিমানেই চড়বো। আমাদের এই ভালোবাসার মর্যাদা দিয়েন।’ আরএম/জেডএ/এমএস
Advertisement