এবি ব্যাংকের ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের মামলায় গ্রেফতার হওয়া ব্যাংকের গ্রাহক ও ব্যবসায়ী সাইফুল হকের পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেয়া সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। একইসঙ্গে, দুদকের আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ২৫ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
Advertisement
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার জজ আদালত এই আদেশ দেন। আদালতে আজ দুদকের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, সম্প্রতি এক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সাইফুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা দুদক চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করি। আদালত ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে সাইফুল হকের পাসপোর্ট ফেরত সংক্রান্ত আদেশ স্থগিত করেছেন। একইসঙ্গে, হাইকোর্টের দেয়া তার জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ২৫ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালদত।
হাইকোর্টের আদেশের পর সাইফুল হক জামিনে কারামুক্ত আছেন বলেও জানান দুদকের এই আইনজীবী।
Advertisement
প্রসঙ্গত, বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হকসহ তিনজনকে গত বছরের ২৫ জুন গ্রেফতার কর দুদক। রাজধানীর গুলশান ও মৎস্যভবন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার অন্য দুজন হলেন— ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড ট্রেজারি শাখার প্রধান আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও ব্যবসায়ী সাইফুল হক। সাইফুল হক এবি ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এম. মোরশেদ খানের জামাতা।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া অফশোর কোম্পানিতে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি না নিয়েই এবি ব্যাংক থেকে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৬৫ কোটি টাকা প্রায়) মধ্যপ্রাচ্যের একটি ব্যাংকে স্থানান্তর করেন আসামিরা।
এই টাকা এবি ব্যাংক লিমিটেডের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) শাখা চট্টগ্রামের ইপিজেড থেকে দুবাইয়ে পাচার করা হয়। এরপর পাচার করা অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে তা আত্মসাৎ করেন তারা।
এফএইচ/জেডএ/আরআইপি
Advertisement