পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, সেন্টমার্টিনে রাতে কোনো পর্যটক থাকতে পারবে না। পর্যটকরা সেখানে দিনে যাবে আবার সন্ধ্যার আগেই দ্বীপটি ছেড়ে আসতে হবে।
Advertisement
এছাড়া দ্বীপটির আশপাশে চলাচল করা ছোট-বড় জাহাজকেও তেলদূষণ করতে দেয়া হবে না। সেন্টমার্টিনে কোনো ধরনের পলিথিন বা প্লাস্টিক ফেলাও যাবে না। এ ব্যাপারে সরকার শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের সভাপতি কৃষিবিদ এ এম এম সালেহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বায়ুমান বিশেষজ্ঞ মো. জিয়াউল হক। মন্ত্রী বলেন, পলিথিন পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। এটা এখন পরিবেশ রক্ষায় নতুন বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এর কারণ হচ্ছে পলিথিন এবং প্লাস্টিক ব্যাগ বা সামগ্রী খুবই সহজলভ্য। কোনোভাবেই পলিথিন ব্যাগ সহজলভ্য হওয়া ঠিক না। এসব সামগ্রীর দাম বাড়াতে হবে। দাম বেশি হলে তা ব্যবহারে সবাই নিরুৎসাহী হবে। শুধু আইন করে প্লাস্টিক উৎপাদন বন্ধ করা সম্ভব না, এর জন্য জনমত গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে না পারলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিবেশের ওপর পড়তে বাধ্য। শিগগিরই পাট থেকে উৎপাদিত পলি ব্যাগ সহজলভ্য করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। আর পরিবেশ অধিদফতরও এ কাজে সহায়তা দেবে। কেননা সবাই জানে নদী-নালা, খাল-বিল এমনকি বিশাল সাগরে কীভাবে পলিথিন দূষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
Advertisement
এফএইচএস/জেএইচ/এমএস