উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সফল বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের শত্রু ইরানের সঙ্গে একটি বাস্তব চুক্তি চান। আর এই চুক্তিতে তিনি পৌঁছাতে চান শিগগিরই।
Advertisement
মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের ক্যাপেল্লা হোটেলে ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হন কিম জন উন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকের পর কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে বিস্তৃত এক যৌথ নথিতে স্বাক্ষর করেন এ দুই নেতা।
নথিতে স্বাক্ষরের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া ‘খুব, খুব শিগগিরই’ শুরু হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন। ট্রাম্পের ওই ম্যারাথন সংবাদ সম্মেলন চলে প্রায় এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিট। এ সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট বলেন, যথাসময়ে ইরানের সঙ্গেও সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
আরও পড়ুন : কী আছে ট্রাম্প-কিমের যৌথ নথিতে?
Advertisement
‘আমি আশা করছি, যথোপযুক্ত সময়ে, নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর...এবং তারা নিষ্ঠুর, আমরা ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি।’
ইরানের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আশা করছি, তারা ফিরে আসতে যাচ্ছে এবং একটি বাস্তব চুক্তির ব্যাপারে আলোচনায় বসবে। কারণ, আমরা এটা করতে সক্ষম হবো। কিন্তু এই সময়ে এটা করা হলে তা খুব তাড়াতাড়ি হবে।’
২০১৬ সালের নভেম্বরে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে। ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির চুক্তিকে ‘ভয়ঙ্কর চুক্তি’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
চলতি বছরের মে মাসে পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে স্বাক্ষরিত এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে ইরানের বিরুদ্ধে আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
Advertisement
আরও পড়ুন : ম্যারাথন সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন ট্রাম্প
ট্রাম্প বলেন, ইরানের চুক্তি, আমি মনে করি এই দেশটি তিন চার মাস আগে যে রকমের ছিল এখন তারচেয়ে ভিন্ন। ভূমধ্যসাগরে এবং সিরিয়ায় তারা আগে যে ধরনের আত্মবিশ্বিাসী ছিল; এখন সেটি খুব দৃঢ় দেখা যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ট্রাম্প-কিমের যৌথ চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাস না করতে উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে দিয়েছে ইরান। তেহরান বলছে, যে কোনো মুহূর্তে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বাতিল করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, ইরান সরকারের মুখপাত্র মোহাম্মদ বাঘের নোবাখত বলেছেন, ‘আমরা জানি না উত্তর কোরিয়ার নেতা কোনো ধরনের ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করছেন। এটা পরিষ্কার নয় যে, তিনি বাড়িতে ফেরার আগেই এই চুক্তি বাতিল করবেন না।
সূত্র : সিএনবিসি।
এসআইএস/আরআইপি