টানা কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ ও পাশ্ববর্তী ফেণী জেলা থেকে নদীর পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সৃষ্ট বন্যায় নোয়াখালীর সর্ববৃহৎ উপজেলা বেগমগঞ্জের লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী মানুষগুলোর জীবন যাত্রায় চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে।এদিকে বানভাসী মানুষের মাঝে রোববার সকাল থেকেই বিভিন্ন ইউনিয়নে শুকনো খাবার ও নগদ টাকা বিতরণ করেন নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মামুনুর রশিদ কিরণ। একলাশপুর ও মিরওয়ারীশপুর ইউনিয়নে দুঃস্থ ও অসহায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ শতশত নারী-পুরুষের মাঝে এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।মামুনুর রশিদ কিরণ জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে জানান, তার পক্ষ থেকে ১৬টি ইউনিয়নে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতি ইউনিয়ন দুই টন করে মুড়ি-চিড়া ও নগদ ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন এবং চৌমুহনী পৌরসভায় চার টন মুড়ি-চিড়া ও ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন। তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন বিত্তবানদের ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।এদিকে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নে সিঙ্গাপুর প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজসেবক জাহাঙ্গীর আলম জনি রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগেও পাঁচশত গরিব অসহায় মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাহিদা হাবিবাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস শনিবার রাতে তার সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বর্তমানে গোটা জেলার সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বন্যা হিসেবে না দেখে এটি জলাবদ্ধতা বলে জানান। তিনি আরো জানান, তাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে।মিজানুর রহমান/বিএ
Advertisement