তিনি ঈদের ছুটিতে যুক্তরাষ্ট্র যেতে পারেন, এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল কদিন আগে থেকেই। তবে ঠিক কবে যাবেন বা আদৌ ঈদ করতে সাকিব আল হাসান আমেরিকা যাবেন কি না, তা নিয়েও ছিল খানিক সংশয়। তবে কাল (সোমবার) সন্ধ্যায় হোটেল সোনারগাঁয় বিসিবির ইফতারের সময় জানা গেল, সাকিব ঈদের ছুটিতে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন এবং সেটা গভীর রাতেই।
Advertisement
যে কথা সেই কাজ। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটায় এমিরাটসের ফ্লাইটে স্ত্রী-কন্যাসহ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন বাংলাদেশের টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, সাকিব যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি ওয়েস্ট ইন্ডিজে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। তবে কাল মধ্যরাতে মিলেছে আরেক তথ্য, যুক্তরাষ্ট্র থেকেই দলের সফরসঙ্গী হবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সেটা কিভাবে!
যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাংলাদেশের মধ্যকার দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি হবে যুক্তরাষ্ট্রে এবং সেখান থেকেই দেশে ফিরবে টাইগাররা। সেটাই হবে শেষ গন্তব্য। তাই রুট পাল্টে আগে যুক্তরাষ্ট্র হয়ে পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবে জাতীয় দলের বহর। আর তখনই সাকিব দলের সঙ্গে মিশে যাবেন।
জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও ভিনদেশি ক্রিকেটার এবং কোচকে বিসিবির পক্ষ থেকে স্বাগত ও বিদায় জানাতে যাকে সবসময় বিমানবন্দরে দেখা যায়, সেই ওয়াসিম খান সাকিবকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। মধ্যরাতে জাগো নিউজকে ওয়াসিম খানই সাকিবের চলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
এদিকে সাকিবের দেশত্যাগের পর ঈদের ছুটি শেষে অন্তত দুদিন (২০-২১ জুন) জাতীয় দল নতুন কোচ স্টিভ রোডসের অধীনে অনুশীলন করবে। সেই অনুশীলন শেষে একদিন বিশ্রাম। তারপরই ২৩ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশে পাড়ি জমাবে বাংলাদেশ দল। তার মানে, দেশের মাটিতে নতুন কোচের অধীনে অনুশীলন করা হবে না সাকিবের।
এমনিতেই সাকিবের হেয়ালি আচরণ নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আবারও সোমবার বিকেলে বিসিবির পরিচালক পর্ষদের সভায়, সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে সাকিবের দল পরিচালনা নিয়ে বেশ উত্তপ্ত কথাবার্তা হয়েছে। কয়েকজন শীর্ষ পরিচালক, সাকিবের নেতৃত্বগুণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলে জানা গেছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পেছনে অনুজ্জ্বল টিম পারফরম্যান্সের পাশাপাশি সাকিবের দুর্বল দল পরিচালনাও পরোক্ষভাবে দায়ী, এমন কথাও উঠেছে।
যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ দরজায় কড়া নাড়ছে, তাই সোমবারের মিটিংয়েই সাকিবের অধিনায়কত্ব নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি। এটা আগামী বোর্ড সভায় আলোচনার কথা বলা হয়েছে।
পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ হবে অধিনায়ক সাকিবের এসিড টেস্ট। সেখানে দল ব্যর্থ হলে তার অধিনায়কত্ব হুমকির মুখে পড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেস্ট সিরিজ খারাপ হলে যুক্তরাষ্ট্রে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেই সাকিবের অধিনায়কত্ব হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার বদলে মাহমুদউল্লাহকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক করা হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
Advertisement
এআরবি/এমএমআর/পিআর