জাতীয়

সরকারের নানা পদক্ষেপে কমেছে শিশু শ্রম : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী নানা পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শিশুশ্রম সমীক্ষা ২০০৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশে শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ছিল ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন। আমাদের সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ২০১৩ সালে শিশুশ্রম সমীক্ষায় দেখা যায়, শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ১ দশমিক ৭ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।’

Advertisement

১২ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সোমবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আইএলও’র এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘প্রজন্মের জন্য নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য’। বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিশুদের উন্নয়ন ও কল্যাণে ‘সবার জন্য শিক্ষা’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সকল শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পাঠ্যবই, শিক্ষা-উপকরণ বিতরণসহ উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি দারিদ্র্য দূরীকরণের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনেও ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এছাড়া দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু রয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিষয়ক এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য শিশুশ্রম নিরসনকে আমরা অন্যতম সূচক হিসেবে নির্ধারণ করেছি।

সরকার আগামী প্রজন্মের নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, আমাদের সরকার জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বিষয়ক আইএলও কনভেনশন অনুসমর্থন করেছে। আমরা শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি -২০১০’ প্রণয়ন করেছি। এসডিজি’কে সামনে রেখে সম্প্রতি ২০২৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ কাজ করছে। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’ প্রণয়ন করেছি।

‘জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ’ শিশুশ্রম নিরসনে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা কমিটিগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৩৮ ধরনের কাজ চিহ্নিত করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিযুক্ত শিশুদের প্রত্যাহার করে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সরকারের পাশাপাশি শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও শিশুদের কল্যাণে বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। বাণীতে তিনি ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Advertisement

এফএইচএস/ওআর/পিআর