২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, নতুন অর্থবছরের জন্য একটি উচ্চাভিলাষী বাজেট নেয়া হচ্ছে। এটি পূরণ করতে হলে ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আদায় করতে হবে। এ জন্য ব্যবসায়ীসহ করদাতাদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
Advertisement
সোমবার রাজধানীর আইডিইবি ভবনে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ‘এলটিইউ ভ্যাট মোবাইল অ্যাপস’ এবং ভ্যাটবিষয়ক তথ্যচিত্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। জনগণের সহযোগিতায় আমরা এ লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট থাকবো। লক্ষ্য যদি বড় থাকে, লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টাও হয় বৃহৎ। সরকার সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ( ২০১৭-১৮) রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি হবে ২০ শতাংশ। এটা ২২ থেকে ২৫ শতাংশ হয়ে যেতে পারে। তবে তা নির্ভর করবে জুন মাসের রাজস্ব আদায়ের ওপর।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘রাজস্ব অগ্রযাত্রায় যে পথে এগিয়ে যাচ্ছি তার মূল চালিকাশক্তি ভ্যাট। আগামী এক বছরের মধ্যে ভ্যাটকে আমরা সম্পূর্ণ অটোমেশনে নিয়ে যাবো। ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) প্রবর্তন করবো, সে জন্য আমরা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাচ্ছি। সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ইএফডির আওতায় এনবিআরের মূল সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অ্যাপস খুব কঠিন কাজ নয়। কঠিন কাজটা হচ্ছে সাহস। অনেক সময় আমরা স্বচ্ছ হতে চাই না। তারা যে আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে এসেছেন, তাকে সাধুবাদ জানাই। অনলাইনে ঘুষ বা স্প্রিড মানির সুযোগ থাকে না। সময় ও খরচ কমে যায়। এটি খুবই ইতিবাচক উদ্যোগ।’
স্বাগত বক্তব্য দেন বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) ভ্যাট শাখার করকমিশনার মো. মতিউর রহমান। তিনি ভ্যাট শাখার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। নতুন অর্থবছরে মূল্য সংযোজন করে (মূসক) আনা নানা পরিবর্তনের তথ্য তুলে ধরেন এলটিইউ ভ্যাট শাখার উপ-করকমিশনার বদরুজ্জামান মুন্সি। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন এসিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর চেয়ারম্যান গোলাম মঈনুদ্দীনসহ এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এলটিইউ-ভ্যাট মোবাইল অ্যাপস এখন অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যবহার করা যাচ্ছে। শিগগিরই এটি আইফোনেও চালু হবে। অ্যাপের মাধ্যমে এলটিইউ ভ্যাট সম্পর্কে প্রায় সব তথ্য জানা যাবে। কমিশনার থেকে অফিস সহায়ক পর্যন্ত সবার ছবিসহ পরিচিতি, এ প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন ভ্যাট প্রদানকারী খাতভিত্তিক ১৫৭ টি প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, বাংলাদেশের সব ভ্যাট কমিশনারের ঠিকানা, সার্কেল ও অঞ্চল সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।
Advertisement
যেকোনো করদাতা সংশ্লিষ্ট কমিশনারেটে ক্লিক করেই সে কমিশনারেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজে ভ্যাট আইন, বিধিমালা ও সেবা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে। সংযোগ বাড়াতে অ্যাপে এলটিইউ ভ্যাটট শাখার কর্মকর্তাদের মুঠোফোন নম্বরও উন্মুক্ত রয়েছে।
এমএ/জেডএ/আরআইপি