জাতীয়

প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ

* একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন ৯০ হাজার মুসল্লি * ১৪ জুনের মধ্যে প্রস্তুত হবে মাঠ * ১৯০টি অজুখানার ব্যবস্থা * থাকবে তিনস্তরের নিরাপত্তা

Advertisement

ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের জন্য জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। কয়েক সপ্তাহ ধরে ঈদগাহের সাজসজ্জার কাজ চলছে। মাঠের ঘাস কাটা, বালু দিয়ে উঁচু-নিচু স্থান ভরাট, বাঁশের খুঁটি পুতা এবং ত্রিপল টানিয়ে প্যান্ডেল তৈরি করা হচ্ছে। চতুর্দিকে টানানো হচ্ছে ফ্যান ও বাতি।

সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় ঈদগাহ মাঠে প্যান্ডেল তৈরির মূল কাজ প্রায় শেষের দিকে। বর্ষার মধ্যে ঈদ হওয়ায় বৃষ্টিনিরোধক ত্রিপল লাগানো হচ্ছে শামিয়ানার ওপরে। প্যান্ডেলের খুঁটিগুলোতে কাপড় ও শামিয়ানার সঙ্গে বৈদ্যুতিক পাখা এবং বাতি লাগানোর কাজ চলছে। পূর্ব পাশে অজুর স্থানসহ চারপাশ পরিষ্কার করতে কাজ করছেন শ্রমিকরা।

মাঠে র‌্যাব, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি), ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মকর্তাদের উপস্থিতি দেখা গেছে। আনা হয়েছে ব্যানার, নিরাপত্তার সরঞ্জাম। নিরাপত্তায় র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে (ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা) স্থাপন করা হবে।

Advertisement

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে প্রায় ৯০ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। এর মধ্যে ৫ হাজার নারীর নামাজের জন্য পর্দা দিয়ে আলাদা ব্যবস্থা করা হবে। মাঠে প্রবেশ করার জন্য নারীদের জন্য আলাদা গেট থাকবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এখানে ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেবেন।

ভিআইপিদের জন্য একটি টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। আর সাধারণ মানুষ গণপূর্ত ভবনে গিয়ে টয়লেট ব্যবহার করতে পারবেন। মাঠে ১৯০টি অজুখানার ব্যবস্থা করেছে ঢাকা ওয়াসা ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

মাঠের কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিরাজ সরদার অ্যান্ড সন্সের কর্ণদার মো. মোজাম্মেল হক। এই প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মোজাম্মেল হক জাগো নিউজকে বলেন, ২০ দিন ধরে ঈদগাহ মাঠে গড়ে প্রায় ১২০ জন শ্রমিক কাজ করে যাচ্ছেন। মাঠের ২ লাখ ৭০ হাজার ২৭৭ বর্গফুট এলাকা বৃষ্টি প্রতিরোধক ত্রিপল দিয়ে আচ্ছাদিত করে দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ। ৭০০টি সিলিং ও ১০০টির মতো পেডেস্টাল ফ্যান লাগানো হবে। বাতি লাগানো হবে ৫০০ থেকে ৬০০টি। নামাজ আদায়ের জন্য মূল প্যান্ডেলের ভেতরে জায়নামাজ বিছানোর কাজ হবে ঈদের আগের রাতে।

মাঠের প্রস্তুতি সম্পর্কে ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, মাঠের যাবতীয় প্রস্তুতি ১৪ জুনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ঈদ জামাতের সময় আগামী ১৪ জুন জানানো হবে।

Advertisement

জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে হতে পারে। সেই সঙ্গে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে বিকল্প সময় হিসেবে সকাল ৯টায় হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

এফএইচ/জেডএ/এমএস