মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশুটির ওজন কমে গেছে! ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. কানিজ হাসিনা শিউলী শনিবার জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বেশ খুশি হয়েই জানিয়েছিলেন ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার হতভাগ্য এই শিশুটি মাত্র দুই কেজি ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও তার ওজন বেড়ে আড়াই কেজি হয়েছে। কিন্তু একদিন না যেতেই রোববার সন্ধ্যায় জানালেন তার ওজন কমে ১ হাজার ৮শ’৫০ গ্রাম হয়ে গেছে। গাইনি ও শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয়া নবজাতকের ওজন কমপক্ষে আড়াই কেজি হওয়া উচিত। তবে ওজন নিয়ে মোটেই উদ্বিগ্ন নন চিকিৎসকরা। তারা বলেছেন, শিশুটিকে এখনও শঙ্কামুক্ত বলতে না পারলেও আগের চেয়ে তার শারিরীক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাকে গত দুদিনের চেয়ে বেশি পরিমাণ মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। শুক্রবার প্রতি তিন ঘণ্টা পর পর তাকে ২ মিলিগ্রাম করে মায়ের দুধ খাওয়ানো হয়েছে। শনিবার দুধের পরিমাণ ২মিলিগ্রাম বাড়িয়ে ৫ মিলিগ্রাম ও আজ ৭ মিলিগ্রাম করে তিন ঘণ্টা পর পর দেয়া হচ্ছে। অন্যান্য শিশুর মতো ক্ষুধা লাগলে কান্নাকাটি করছে।এনআইসিইউ’র চিকিৎসক ও নার্সরা জানান, শিশুটির মা নাজমা বেগম পার্শ্ববর্তী গাইনি অ্যান্ড অবস্ ওয়ার্ডে ভর্তি থাকলেও ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কায় সন্তানের কাছে এসে দুধ খাওয়াতে পারছেননা। বুক থেকে দুধ চেপে বের করে ফিডারে করে এনে খাওয়ানো হচ্ছে। শিশুটির জন্ডিসের মাত্রা জানার জন্য শনিবার রক্ত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- শনিবার শিশুটির অস্ত্রোপচারের স্থানে ড্রেসিং করা হয়। চারদিন আগে গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থানগুলোতে অস্ত্রোপচার করা হয়। ক্ষুদে এ শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে ২১টি সেলাই পড়ে। এদিকে রোববার ড্রেসিংয়ের সময় ক্ষতস্থানে কোন ধরনের ইনফেকশন পাওয়া যায়নি। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা প্রতিদিন শিশুটিকে দেখে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। শিশুটির ওজন বেড়ে যাওয়া ও হঠাৎ করে কমে যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডা. শিউলী জাগো নিউজকে বলেন, এমনটি সব নবজাতকের ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। নবজাতক শিশুদের ওজন প্রথমে কিছুটা বেড়ে আবার কমতে থাকে।উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই মাগুরায় স্থানীয় যুবলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে মা-সহ গর্ভে গুলিবিদ্ধ হয় শিশুটি।এমইউ/এসএইচএস/এমআরআই
Advertisement