খেলাধুলা

প্রথম দিনেই ফ্যানফেস্টে দর্শকের ঢল

মস্কো সিটি সেন্টারের কিছুটা দক্ষিণে স্পারো পাহাড়। ওই অঞ্চলেই অবস্থিত মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি। ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অঞ্চলটি হাজার হাজার মানুষের পদচারণা, হৈ-হুল্লোড় আর গান-বাজনায় মুখোরিত থাকবে আগামী এক মাস। রাশিয়া বিশ্বকাপে মস্কোর প্রধান ফ্যানফেস্ট জোনটি করা হয়েছে এখানে। রোববার এ জোনটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে ফিফা।

Advertisement

লুঝনিকি স্টেডিয়াম থেকে ঘণ্টাখানেকের পথ ফ্যানফেস্ট জোন। ভরোবায়োভ গোরি নামক মেট্রো স্টেশনে নেমে ফ্যানফেস্ট জোনের দিকে রওয়ানা দিতেই চোখে পড়লো রাস্তার দুই পাশের জনস্রোত। দুই দিকে সবুজ গাছপালা। বিশাল রাস্তা দিয়ে শোঁ শোঁ করে চলছে যানবাহন। দুই পাশের ফুটপাত দিয়ে মানুষ ছুটছে ফ্যানফেস্ট জোনে।

স্টেশন থেকে বের হওয়ার মুখে দর্শকদের স্বাগত জানানো শুরু। কতক্ষণ হাঁটতে হবে, কোনো দিকে যেতে হবে; তরুণ-তরুণীরা দর্শকদের হাসিমুখে সে পথ বাতলে দিচ্ছেন। দর্শকদের যাতে কোনো সমস্যা না নয়, সেজন্য কিছুদূর পর পরই সহযোগিতার হাত নিয়ে দাঁড়িয়ে স্বেচ্ছাসেবকরা। তাদের হাসিমুখ আর আন্তরিকতা দিয়েই শুরু হয় দর্শকদের ফ্যানফেস্ট জোন দর্শন।

দূর থেকেই কানে আসছিল কনসার্টের আওয়াজ। রাশিয়ার বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পীরা পারফর্ম করছিলেন তখন। রাশিয়ান দর্শকরা দূর থেকেই কণ্ঠ মেলাতে লাগলেন মঞ্চের পারফরমারদের সঙ্গে। হাঁটতে হাঁটতে নাচতেও ছিলেন অনেকে। এতটা দূরেই যখন এ অবস্থা, তথন জোনে কেমন হবে সেটা বোঝা গিয়েছিল আগেই।

Advertisement

ফ্যানফেস্টের এই উৎসবমুখর পরিবেশ দেখেছি আগেও। ব্রাজিলের বিভিন্ন ভেন্যু শহরে ফ্যানফেস্ট দেখেই হয়েছিল প্রথম অভিজ্ঞতা। রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রথম দেখা হলো ফ্যানফেস্টের উম্মাদনা। এখানে অবশ্য আগে দেখার সুযোগও ছিল না। রোববারই যে হলো আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।

ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মার্সেল দেশম এবং রাশিয়ান সাবেক সুপার স্টার আলেকজান্ডার কারজাকভ আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফ্যানফেস্ট জোনের উদ্বোধন করেন। তারা দুজনই এখন ফিফার বিশেষ দূত। বিশ্বকাপের ট্রফিও সেখানে প্রদর্শন করা হলো কিছু সময়।

৩০ মিনিটেজমার জমট কনসার্ট দিয়েই শেষ হয় প্রথম দিনের উৎসব। স্থানীয় শিল্পীরা যখন গান গাইছিলেন, তখন পুরো জোন যেন নাচছিল। কয়েক হাজার দর্শক প্রথম দিন ঘুরে গেছেন ফ্যানফেস্ট জোন, করে গেছেন আনন্দ। রোববার থেকে বিদেশি দর্শকদেরও ভিড় বাড়ছে মস্কোতে। সোমবার থেকে নিশ্চয়ই পা রাখার জায়গা থাকবে না এখানে।

প্রথম দিনই দর্শকের উল্লেখযোগ্য ভিড়। এই ফ্যানফেস্টে অন্তত ২৫ হাজার দর্শক এক সঙ্গে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন। মস্কোর মতো একইভাবে বিশ্বকাপের অন্য শহরগুলোর ফ্যানফেস্ট জোনও উম্মুক্ত করা হয়েছে দর্শকদের জন্য।

Advertisement

আরআই/এমএমআর/পিআর