বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কমিউনিটি ট্যুরিজম জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশের তার প্রচলন তেমন নেই। কমিউনিটি ট্যুরিজম হচ্ছে- একটি নির্দিষ্ট এলাকার জীবন ধারনের সঙ্গে মিশে যাওয়া। এখানে নিজ হাতে মাছ ধরবেন, কৃষিকাজ করবেন, জমিতে সার ছিটাবেন। অর্থাৎ ৪/৫ দিনের জন্য আপনি নিজেই কৃষক।
Advertisement
এবার ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের নতুন স্বাদ দিতে চালু হয়েছে এই কমিউনিটি ট্যুরিজম। এটাই সিলেট বিভাগের প্রথম কমিউনিটি ট্যুরিজম। নতুন ধারার এই পর্যটন সেবা চালু হয়েছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ মণিপুরীপাড়ায়। যাত্রার শুরুতে উপজেলার ভানুবিল মাঝেরগাঁও গ্রামে মণিপুরী সম্প্রদায়ের দশটি বাড়ি ও তাদের পরিবারের অংশগ্রহণ থাকবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা, খাবার, বাসস্থানসহ সার্বিক বিষয়ে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। তাদের হাজার বছর ধরে চলে আসা সামাজিক বৈচিত্র্যময় কালচারের সঙ্গে মিশে যাওয়ার এক অপূর্ব সুযোগ করে দেবে কমিউনিটি ট্যুরিজম।
ভ্রমণপিপাসু নিলান্ত পিকলু কমিউনিটি ট্যুরিজম সম্পর্কে বলেন, ‘বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং সংস্কৃতি জানতে ভ্রমণ করি কিন্তু তার পুরোটা জানার সুযোগ হয় না। তবে কমিউনিটি ট্যুরিজম সেই তৃষ্ণা মেটাবে।’
> আরও পড়ুন- ঈদে বাড়ি ফেরার সময় যা করবেন
Advertisement
মণিপুরী থিয়েটারের সভাপতি শুভাশিষ সিনহা জানান, মণিপুরীদের সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী। যার ফলে তাদের প্রতি পর্যটকরা সহজে আকৃষ্ট হন।
কমিউনিটি ট্যুরিজমের সভাপতি নিরঞ্জন সিংহ রাজু বলেন, ‘আমরা সুন্দর একটি পরিবেশ পর্যটকদের জন্য সবসময় রাখবো।’
কমিউনিটি ট্যুরিজম বিশেষজ্ঞ শাহিদ হোসেন শামীম জাগো নিউজকে জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে তাদের আর্থিক উন্নয়ন ও নিজস্ব সংস্কৃতি পরিচিতির ভেতরে বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করে পর্যটকবান্ধব সেবাই হচ্ছে কমিউনিটি ট্যুরিজম।
> আরও পড়ুন- হাজারিখিল অভয়ারণ্যে একদিন
Advertisement
সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ড. নাজমানারা খানুম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এটি একটি পাইলট প্রকল্প। এখানে সফল হলে আমরা অন্যান্য সম্প্রদায়কে কমিউনিটি ট্যুরিজমে সম্পৃক্ত করব। সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চল কমলগঞ্জে কমিউনিটি ট্যুরিজমের এই উদ্যোগ সফল হলে দেশে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।’
এসইউ/পিআর