২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধের ঘোষিত মুদ্রানীতির যথাযথ বাস্তবায়ন দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। রোববার এফবিসিসিআই`র এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দ্রুত প্রবৃদ্ধির ধারাকে আরও গতিশীল, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণে সতর্কতা এবং মূল্যস্ফীতি হ্রাসের উপর গুরুত্ব দেওয়ার সঙ্গে পূর্বের ধারাবাহিকতায় সংযত ও সতর্ক থাকায় নতুন মুদ্রানীতিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। এফবিসিসিআই`র বিবৃতিতে বলা হয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের মৌলিক ভিত্তি হচ্ছে মুদ্রানীতি। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের স্বার্থে যথাযথ মুদ্রা সরবরাহ এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হচ্ছে মুদ্রানীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এজন্য মুদ্রানীতির যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২১ সালে বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করার উদ্দেশ্যে ৮শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে জিডিপির ৩৪শতাংশ বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। মুদ্রা সরবরাহ ও বিনিয়োগ বান্ধব সুদের হার ও ব্যাংক চার্জ কার্যকর করা সহ সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে ঋণ গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা। উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করা এবং ঋণ বিতরণে গুণগত মানের প্রতি বেশি নজর দেয়ার পাশাপাশি মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানানো হয়। এছাড়া বলা হয়, প্রতিযোগী বেশির ভাগ দেশের ঋণের সুদের হার বাংলাদেশের চেয়ে কম। ফলে কম সুদে ঋণ নিয়ে সেসব দেশের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছেন। বিনিয়োগের স্বার্থে সকল খাতের ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমানোর দাবি জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুর দিকে নেতিবাচক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা, উচ্চ সুদের হার ও সামঞ্জস্যহীন ব্যাংক চার্জের কারণে কাঙ্ক্ষিত হারে বিনিয়োগ হচ্ছে না। বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করাসহ সুলভ ও সহজ শর্তে ঋণ নিশ্চিতের পাশাপাশি উৎপাদন খাতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী নিশ্চিতকরণ এবং শ্রমের দক্ষতা বাড়ানো জরুরি বলে জানায় এফবিসিসিআই।এসআই/এমআরআই
Advertisement