খেলাধুলা

এখনো আড়মোড়া ভাঙেনি স্পার্টাক স্টেডিয়াম

মস্কোয় প্রথম তিন দিনের বেশিরভাগ সময় কাটলো লুঝনিকি স্টেডিয়াম ঘিরে। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু বলে কথা; কিন্তু এই শহরে যে আরো একটি ভেন্যুও আছে। না হোক এখানে উদ্বোধনী ম্যাচ আর ফাইনাল- স্পার্টাক স্টেডিয়ামের দিকে যে নজর থাকবে বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমীর! এখানে যে ম্যাচ আছে মেসি আর নেইমারদের। গ্রুপের পর্বের চারটি আর একটি দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ আয়োজনে পুরোপুরি প্রস্তুত ৪৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষম এ স্টেডিয়ামটি।

Advertisement

রোববার সকালে স্পার্টাক স্টেডিয়ামে গিয়ে তো চোখ ছানাবড়া। অসাধারণ স্টেডিয়াম। মস্কো শহরের কেন্দ্র থেকে অনেকটা দুরে বিশ্বকাপের এ ভেন্যুটি। পুরো এলাকাটা যেন ভূ-স্বর্গ। সবুজে ঘেরা চারিদিক। তার মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বিশাল বিশাল সুদৃশ্য অট্টালিকা। তারই একপাশে স্পার্টাক স্টেডিয়াম। দাঁড়িয়ে আছে যেন নববধুর সাজে।

সব প্রস্তুত। স্টেডিয়াম চত্বরে পা দিয়েই টের পাওয়া গেছে এখানে কেবল খেলা দেখাই না, দর্শকদের বাড়তি বিনোদন হবে এলাকার সৌন্দর্য্য। যদিও রোববার পর্যন্ত স্টেডিয়াম চত্বরে প্রবেশাধিকার থাকলেও ভেতরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। স্টেডিয়ামের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানিয়ে দিলেন, ১২ জুন থেকে স্টেডিয়াম উম্মুক্ত করে দেয়া হবে।

মানে ১২ জুন এ স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টারে প্রবেশ করা যাবে। কারণ, ১৪ জুন বিশ্বকাপ শুরু হলেও এ স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ ১৬ জুন আর্জেন্টিনা ও আইসল্যান্ডের মধ্যকার। এ স্টেডিয়ামের বিশ্বকাপ শুরু হতে যে এখনো বাকি ৬ দিন!

Advertisement

নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবকসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন শতশত মানুষ। তবে তাদের ব্যস্ততা এখনো শুরু হয়নি। গল্প করে, মুঠোফোনে হাত চালিয়ে সময় পার করছেন সবাই। মাঝেমধ্যে উর্ধ্বতন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এসে তার বিভাগের মানুষদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন।

লুঝনিকি স্টেডিয়ামে যেমন এখনো সাজসজ্বার কাজ চলছে, স্পার্টাক স্টেডিয়ামে তেমন নয়। এখানে সব কিছু যেন প্রস্তুত হয়েই আছে। শুধু সময়ের অপেক্ষা। চারিদিকের দেয়াল এবং স্টেডিয়ামের বাইরে বিশ্বকাপের লোগো, মাসকাট এবং বিভিন্ন তারকা ফুটবলারদের ছবি দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তারপরও এ স্টেডিয়ামের আড়মোড়া না ভাঙ্গায় একটু অলস সময়ই পার করছেন সবাই। এখনো যে আড়মোড়া ভাঙ্গেনি বিশ্বকাপের মস্কোর দ্বিতীয় ভেন্যুটির।

এ স্টেডিয়ামের একটি বিশেষ দিক হলো এর চারদিক লাল ও সাদা রঙ্গে ঘেরা। আর স্বাগতিক স্পার্টাক ক্লাবের ম্যাচের সময় তাদের রংটাই ফুটে ওঠে স্টেডিয়ামজুড়ে। আর যখন রাশিয়ার জাতীয় দল খেলে এ স্টেডিয়ামে তখন দেশটির জাতীয় পতাকা ফুটিয়ে তোলা হয় রঙের মাধ্যমে। দর্শক ধারণ ক্ষমতায় লুঝনিকির মতো না হলেও স্পার্টাক স্টেডিয়াম রাশিয়ার অন্যতম নান্দনিক স্টেডিয়াম হিসেবে সুখ্যাতি রয়েছে।

মেসিদের ম্যাচের ১১ দিন পর এ স্টেডিয়ামে পা পড়বে নেইমারদের। ২৭ মার্চ পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা খেলবে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ১৯ জুন পোল্যান্ড-সেনেগাল, ২৩ জুন বেলজিয়াম-তিউনিসিয়া এবং ৩ জুলাই দ্বিতীয় রাউন্ডের একটি ম্যাচ হবে স্থানীয়ভাবে ওতক্রিতিয়ে নামের এ স্টেডিয়ামে।

Advertisement

আরআই/আইএইচএস/আরআইপি