‘মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের কিলাত ক্লাব মাঠ’- মনের আয়নায় জ্বলজ্বল করা একটি নাম। ক্রিকেটে বাঙালির প্রথম জয়ের কেতন ওড়ার মাঠ। সোনালি সাফল্যে মোড়ানো এক ভেন্যু।
Advertisement
এতকাল মালয়েশিয়ার রাজধানীর কিলাত ক্লাব মাঠ ছিল বাঙালির স্বপ্ন পূরণের অন্যতম সেরা মঞ্চ। ১৯৯৭ সালে কেনিয়াকে হারিয়ে প্রথম আইসিসি ট্রফি জয়ের ভেন্যু; কিন্তু সেই শহরের আরেক মাঠ যে বাংলাদেশের নারী দলের সাফল্যগাঁথা হয়ে থাকবে, একই শহরে বাংলার নারীরা সাফল্যের আরেক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে, তা কে জানতো?
সে অভাবনীয় ঘটনাই ঘটল আজ। এটাকে কী বলবেন, অবাক করা কাণ্ড! অতি কাকতালীয় ঘটনা? স্বপ্ন পূরণের গল্প; নাকি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি? যাই বলা হোক না কেন, আসল কথা হলো মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে পয়োমন্তঃ শহর। সাফল্যের স্বর্গ!
১৯৯৭ সালের ১৩ এপ্রিল কুয়ালালমপুরের কিলাত ক্লাব মাঠে কেনিয়াকে ২ উইকেটে হারিয়ে আইসিসি ট্রফি জয় করে বিশ্ববিজয়ী বীরের মতো প্রথমবার বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে পা রেখেছিল বাংলাদেশ। ক্রিকেটে ‘বাংলাদেশ’ নামে এক নতুন শক্তির অভ্যুদয় ঘটেছিল সেদিন কিলাত ক্লাব মাঠে।
Advertisement
এর দীর্ঘ ২১ বছর পর আজ সেই মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আবারো উড়লো ক্রিকেটে বাঙ্গালির জয়ের কেতন। পার্থক্য দুটি। ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি বিজয়ের সাফল্যের ভেন্যু হয়ে বাঙালিরর ক্রিকেটে উত্তরণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে কুয়ালালামপুরের কিলাত ক্লাব মাঠ। সেবার ক্রিকেটে লাল সবুজ পতাকা উড়িয়েছিলেন আকরাম, বুলবুল, মিনহাজুল আবেদিনরা।
এবার সেই কুয়ালালামপুরে বাঙালির বিজয় নিশান ওড়ালেন সালমা, আয়শা, জাহানারা, পিংকি আর সানজিদারা। নারী ক্রিকেটে যে দলটি এশিয়ার মহাদেশে দুর্দমনীয় ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিক করে ফেলেছে, সেই ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে এবার নারী এশিয়া কাপের প্রথম শিরোপা জিতলো বাংলাদেশ নারী দল। সত্যিই ভিনদেশের এক শহরের দুই মাঠে এমন অবিস্মরণীয় আর ঐতিহাসিক সাফল্যের নজির বুঝি আর কোন দলেরই নেই।
১৯৯৭ সালে কেনিয়াকে হারিয়ে বিজয়ের আনন্দে নিজেরা আত্মহারা হওয়ার পাশাপাশি দেশকে উৎসব-আনন্দে মাতিয়েছিলেন আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, খালেদ মাসুদ পাইলট, খালেদ মাহমুদ সুজন, সাইফুল ইসলাম, হাসিবুল হোসেন শান্ত আর মোহাম্মদ রফিকরা।
এবার তাদের পথে হেঁটে সাফল্যের নতুন ইতিহাস গড়লেন সালমা, রুমানা, আয়শা, পিংকি, জাহানারা আর সানজিদারা। আবার বাঙ্গালির ক্রিকেট ধরা দিল আরেক অবিস্মরণীয় ক্রিকেটে বাংলাদেশের স্বপ্ন পুরণের শহর।
Advertisement
এখন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলছে। সর্বশেষ বিশ্বকাপের সেরা আটেও জায়গা করে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল; কিন্তু এক সময় এই বিশ্বকাপ খেলা ছিল স্বপ্ন। সেই ১৯৭৯ থেকে ১৯৯৪- ১৫ বছর শুধু স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় নীল হয়ে থেকেছে বাংলাদেশ। ১৯৭৯, ১৯৮৩, ১৯৮৬, ১৯৯০ আর ১৯৯৪ সাল- প্রতিবার অনেক আশা নিয়ে আইসিসি ট্রফি খেলতে যাওয়া আর প্রতিবার হতাশার গ্লানি নিয়ে ফিরে আসা। অবশেষে ১৯৯৭ সালে দীর্ঘ লালিত স্বপ্ন সত্যি হয়ে ধরা দিল।
আজ না হোক কাল, কাল না হয় পরশু- একদিন না একদিন হয়ত বাংলাদেশও হবে ক্রিকেটে বিশ্বসেরা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। রচিত হবে সাফল্যের নতুন নতুন গল্প, ইতিহাস; কিন্তু এ দেশের ক্রিকেট থেকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের সেই কিলাত ক্লাব মাঠকে আলাদা করার কোনই অবকাশ নেই। ওই মাঠ টাইগারদের সাফল্যের স্বর্গ হয়ে আছে। থাকবে চিরকাল। ১৯৯৭ সালের ১৩ এপ্রিল সেই কিলাত ক্লাব মাঠে কেনিয়াকে ২ উইকেটে হারানো থেকেই শুরু টাইগারদের স্বপ্নযাত্রা। বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন সূর্যোদয়।
সেই একই শহরে আজ (রোববার) সালমা, আয়শা, জাহানারা, পিংকি, সানজিদা আর রুমানারা নারী ক্রিকেট ইতিহাসে এক নতুন ঘটনার জন্ম দিলেন। এশীয় ক্রিকেটে যে ভারতীয় নারীদের একচ্ছত্র আধিপত্য, যারা এখন পর্যন্ত এশিয়ার কাপের সব কটা আসরের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন, সেই ভারতকে হারানো চাট্টিখানি কথা নয়।
এ অঞ্চলের অপর দুই প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেট শক্তি পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কার মেয়েরাও যা পারেনি কখনো, এবার সেই অভাবনীয় সাফল্যই দেখালেন সালমা, সানজিদা, জাহানারা আর রুমানারা।
এ শুধু একই শহরের কাছাকাছি দুটি মাঠে বাঙ্গালির সাফল্যর একজোড়া নতুন কাহিনীই নয়। কাকতালীয়ভাবে আকরাম বাহিনীর আইসিসি ট্রুফি বিজয়ের সাথে সালমার দলের সাফল্যের গল্পটাও প্রায় এক। দুটি জয়ই ধরা দিল ম্যাচের শেষ বলে এসে। আর প্রতিবারই রান তাড়া করে শেষ হাসি বাংলাদেশের।
১৯৯৭ সালের ফাইনালে কেনিয়ার বিপক্ষে শেষ ওভারে টাইগারদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১১ রানের। ক্রিজে ছিলেন খালেদ মাসুদ পাইলট আর হাসিবুল হোসেন শান্ত। কেনিয়ান পেসার মার্টিন সুজির করা শেষ ওভারের প্রথম বলটি ছিল ফুলটচ। পাইলট একদম সোজা ব্যাটে তা বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান; কিন্তু দ্বিতীয় বলে কোন রান আসেনি। ডট বল। তৃতীয় বলটি লেগসাইডে ওয়াইড করে বসেন মার্টিন সুজি।
বাড়তি বলে সিঙ্গেলস নিয়ে প্রান্ত বদলে শান্তকে স্ট্রাইক দেন পাইলট। স্ট্রাইক পেয়ে শান্তও প্রথম বল ব্যাটে আনতে পারেননি। সেটাও ডট বল। ঠিক পরের বলকে সপাটে ডিপ মিড উইকেটে ঠেলে ডাবলস নিয়ে হিসেব সহজ করে ফেলেন শান্ত। শেষ বলে এক রান চাই। গোটা কিলাত ক্লাব মাঠে নীরব-নিথর। স্নায়ুক্ষয়ী অবস্থা। পিচের মাঝামাঝি শলা-পরামর্শ করে নিলেন পাইলট ও শান্ত- ‘বল ব্যাটে লাগুক আর নাই লাগুক, যেহেতু মিডিয়াম পেসার মার্টিন সুজির বলে কিপার কেনেডি ওটিয়েনো ১০/১২ গজ পিছনে দাঁড়ান, তাই বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে উইকেটের পিছনে গেলেও দৌড়ে প্রান্ত বদল করে ফেলবো আমরা।’
যে কথা সেই কাজ। শেষ বল ব্যাটে আনতে পারলেন না শান্ত। প্যাডে লেগে বল চলে গেল শর্ট ফাইন লেগে। কিপার আর শর্ট ফাইন লেগের ফিল্ডার বল ধরতে ধরতে ননস্ট্রাইক এন্ডে দাঁড়িয়ে থাকা পাইলট ঝড়ের বেগে পৌছে গেলেন ব্যাটিং প্রান্তে।
আর শান্ত সরাসরি দৌড়ে একদম সাজঘরের সামনে। সেখানে তখনকার বোর্ড সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীসহ বিসিবির ওই সময়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা, ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্লাব কর্মকর্তা, সমর্থক এবং সাংবাদিকের বাধভাঙ্গা উচ্ছাস, উল্লাস আর জয়োৎসবে মাতোয়ারা হলো কিলাত ক্লাবের মাঠ ও তার আশপাশ।
আর আজ কুয়ালালমপুরের কিনরারা একাডেমি ওভালে ভারতের সাথে ফাইনালের শেষ ওভারে বাংলাদেশের মেয়েদের প্রয়োজন ছিল ৯ রানের। ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রিত কাউরের করা ওই ওভারের প্রথম বলে সানজিদা ইসলাম সিঙ্গেলস নিলেন। অলরাউন্ডার রুমানা স্ট্রাইক পেয়ে কভার দিয়ে দারুন এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে হিসেব সহজ করে ফেললেন।
তৃতীয় বলে রুমানা সিঙ্গেলস নিলে স্ট্রইক পেলেন সানজিদা। শক্ত সামর্থ সানজিদা ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছিলেন। এক পা সামনে এসে তার লং অনের ওপর দিয়ে তুলে মারা শট সীমানার গজ খানেক আগে গিয়ে ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়লো। বল আকাশে অনেক্ষণ ভেসে থাকায় প্রান্ত বদলে আবার স্ট্রাইকে চলে আসেন রুমানা।
পঞ্চম বলে রুমানা একরান পূর্ণ করে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে হলেন রান আউট। শেষ বলে দরকার পড়লো দুই রানের। উইকেটে আসা জাহানারা এতটুকু ঘাবড়ে না গিয়ে সাহস ও আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রিত কাউরের করা খেলার শেষ বলে পুল খেললেন। মিড উইকেট আর ওয়াইড লং অনের মাঝামাঝি চলে যাওয়া সেই বল ধরে থ্রো করলেন ভারতীয় ফিল্ডার; কিন্তু জয়ের অদম্য বাসনা আর দৃঢ় সংকল্পে জাহানারা-সালমারা বাঘিনীর মত দুবার প্রান্ত বদল করে ফেললেন চিতাসম ক্ষীপ্রতায়। এরই সঙ্গে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ নারী দল।
তুলনায় যাওয়া অবান্তর। দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রেক্ষাপট। সম্পূর্ণ আলাদা পরিবেশ। তারপরও না বললেই নয়, বাংলাদেশের ছেলেরা এরআগে দুইবার ফাইনালে গিয়েও এশিয়া কাপ জিততে পারেনি; কিন্তু সালমা, রুমানা, জাহানারা, সানজিদারা প্রথমবার ফাইনালে উঠেই কাপ জিতে নিলেন।
ঠিক ২১ বছর আগে যেমন প্রথমবার আইসিসি ট্রফির ফাইনাল খেলতে নেমে শেষ হাসি হেঁসেছিল আকরাম খানের দল। পার্থক্য একটাই। ১৯৯৭ সালে কুয়ালালামপুরের কিলাত ক্লাব মাঠ ছিল যেন এক খন্ড বাংলাদেশ। একটা দল দেশের বাইরে যতটা অনুকুল দর্শক ও সমর্থনপুষ্ট হয়ে মাঠে নামতে পারে, তার আদর্শ উদাহরণ ছিল ১২ ও ১৩ এপ্রিল মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের কিলাত ক্লাব মাঠ।
অন্তত হাজার পাঁচেক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন প্রিয় জাতীয় দলকে অকুণ্ঠ সমর্থন জোগাতে। লাল সবুজ জাতীয় পতাকা হাতে তারা সর্বক্ষণ ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করেছেন। প্রিয় ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করেছেন। টাইগাররা পেয়েছেন সর্বোচ্চ অনুপ্রেরণা। আর দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা বিসিবির তখনকার বোর্ড সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল, আরেক যুগ্ম সম্পাদক প্রয়াত মাহমুদুল হক মানু সহ প্রায় পুরো কার্যনির্বাহী পরিষদ ছিলেন মাঠে।
এছাড়া আকরাম বাহিনীকে উদ্যমী করে তুলতে দেশ থেকে গিয়েছিলেন আজকের শাসক দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সে সময়ের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া বাংলাদেশের মঞ্চ ও টিভির অন্যতম শীর্ষ তারকা সুবর্ণা মোস্তফা আর প্রয়াত হুমায়ুন ফরিদীও ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করতে দেশ থেকে উড়ে গিয়েছিলেন কিলাত ক্লাব মাঠে।
তাদের সাথে বিসিবি-সিসিডিএম তথা ঢাকার ক্লাবের এর শতাধিক ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ কর্মকর্তা, সাংবাদিক- সবাই মিলে ছিলেন একাকার। যে কোনো মূল্যে দলকে জিতাতে হবে, আইসিসি ট্রফি জিকে বিজয়ীর বেশে দেশে ফিরতে হবে- এমন দৃঢ় সংকল্প ছিল সবার চোখে মুখে এবং মনে।
শুধু ভৌগলিক পরিচয়টুকু বাদ দিলে কিলাত ক্লাব মাঠে কেনিয়ার সাথে ফাইনালে বাংলাদেশ যেন ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই খেলতে নেমেছিল; কিন্তু আজ (রোববার) ভারতের নারী দলের বিপক্ষে তেমন অকুণ্ঠ সমর্থন মেলেনি সালমা, জাহানারা, রুমানা, সানজিদা, খাদিজাদের। দেশ মাতৃকার টানে বোনদের সমর্থন জোগাতে মাঠে ছিলেন হাজার খানেক প্রবাসী বাংলাদেশি। তারা প্রাণপন চেষ্টা করেছেন নারী দলকে সাহস জোগাতে। উৎসাহিত ও অনুপ্রানিত করতে।
কিন্তু শুধু তারাই। ২১ বছর আগে আইসিসি ট্রফির ফাইনালের মত যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, বিসিবি প্রধান, সম্পাদকসহ পুরো বোর্ড, ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের ক্রিকেট পাগল শত কর্মকর্তার কেউ ছিলেন না আজ কুয়ালালামপুরে। প্রবাসী বাঙ্গালীদের বাইরে সালমা বাহিনীর সঙ্গী ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।
ঘরের মাঠে খেলা হলে তবু একটা কথা ছিল। বিদেশ বিভুঁইয়ে। খেলা ভারতীয় নারীদের সাথে। যারা, মেধা-প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে। তারপরও এতটুকু ঘাবড়ে না গিয়ে জয়ের অদম্য স্পৃহা আর সাফল্যের দূর্ণিবার আকাঙ্খায় সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে লড়লেন বাংলার নারী ক্রিকেট যোদ্ধারা। ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং- তিন ডিপার্টমেন্টে নিজেদের সেরা প্রমাণ করে এশীয় ক্রিকেটে ভারতীয়দের প্রায় একচ্ছত্র শ্রেষ্ঠত্বর অবসান ঘটালেন সালমা, জাহানারা, সানজিদা, রুমানা আর খাদিজারা।
জয়তু বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
এআরবি/আইএইচএস/পিআর