দেশজুড়ে

২৪ ঘণ্টায় ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি, স্থবির বন্দরনগরী

শনিবার থেকে চট্টগ্রাম নগরে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আজ (রোববার) থেমে থেমে তা চলে দিনভর। কখনো ভারী বর্ষণ, আবার কখনো গুঁড়িগুঁড়ি। এই টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছে নগরবাসী।

Advertisement

আজ মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল অনেক কম। কয়েকদিন ধরে জমে ওঠা ঈদের বাজার টানা বৃষ্টিতে ভাটা পড়েছে। বৃষ্টিতে স্থবির হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রাম নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নাছের বলেন, দুপুরের এ সময়ে মার্কেটের গলিতে ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড় থাকে। আর আজকের ফাঁকা অবস্থা তো দেখছেনই। দিনভর বৃষ্টির কারণে লোকজন ঘর থেকে বের হয়নি।

এদিকে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোকে এ সতর্কতা সংকেত দেয়া হয়েছে।

Advertisement

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মিলি রহমান জাগো নিউজকে বলেন, রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ দশমিক ৫ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, নিম্নচাপটি আজ মধ্যরাতে কিছুটা দুর্বল হয়ে সীতাকুণ্ড উপকূল দিয়ে বাংলাদেশের ভূভাগ অতিক্রম করবে। বৃষ্টিপাতের সঙ্গে দমকা হাওয়া মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত বহাল থাকতে পারে।

এদিকে বৃষ্টির কারণে বিভিন্নস্থানে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। বর্ষণের ফলে নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, স্টেশন রোড, রিয়াজউদ্দিন বাজার, দুই নম্বর গেটসহ বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দিন বলেন, প্রবল বর্ষণের ফলে আমতলা এবং বাজারের কিছু এলাকা হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে যায়। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে বেচা-বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্ভোগের শেষ নেই।

Advertisement

আবু আজাদ/বিএ/পিআর