জাতীয়

কর বিষয়ক টাস্কফোর্স গঠনের আহ্বান

দেশে দ্রুত ব্রডব্যান্ড সেবা চালুর লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয় ও এনবিআর এর সমন্বয়ে একটি কর বিষয়ক টাস্কফোর্স গঠন প্রয়োজন বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। টাস্কফোর্সটি একটি কার্যকরী কর ব্যবস্থা স্থাপনে কাজ করবে বলেও জানানো হয়েছে। `সম্ভাবনার ডিজিটাল বাংলাদেশ` শীর্ষক এই গবেষণাটি পরিচালনা করে টেলিকম থিংকট্যাংক লার্ন এশিয়া এবং এতে সহযোগিতা করে টেলিনর গ্রুপ ও গ্রামীণফোন। রোববার রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এই গবেষণা পত্রটির মোড়াক উন্মোচন করেন।গবেষণাটি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এ পর্যন্ত অর্জিত সাফল্য চিহ্নিতকরণ, যে সব ক্ষেত্রে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা চিহ্নিত করণ এবং সাফল্যের মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে। লার্ন এশিয়ার সিইও রোহান সামারাজিভা গবেষণা সর্ম্পকে বিস্তারিত ধারণা তুলে ধরে বলেন, নিম্ন ব্যয় ক্ষমতা, ডিভাইসের মূল্য এবং ব্যবহারের খরচের মিলিত অভিঘাতের ফলে অনেক বাংলাদেশির পক্ষে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার কঠিন হয়ে পড়ে। সরকারের আরোপিত কর এবং ফি মোবাইল ফোন ক্রয় ও ব্যবহারের খরচের শতকরা ১৭ ভাগ হওয়ায় তা অতিরিক্ত বাধা হিসেবে কাজ করে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই প্রতিবেদন আমাদের বাস্তবসম্মতভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সাহায্য করবে।তথ্যমন্ত্রী এ সময় তরুণদের কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রভৃতি খাতে বিশেষ মনযোগ দিতে আহ্বান জানায় যা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারি এবং বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বলেন, আমাদের সবাই বিজয়ী এমন একটি ইকোসিস্টেম প্রয়োজন যেখানে সরকারি এবং বেসরকারি সকল স্টেকহোল্ডার সমভাবে উপকৃত হবে। গ্রামীণফোনের সিইও বলেন, সবার জন্য সুলভ ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করাই ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মৌলিক পদক্ষেপ। সঠিক রেগুলেটরি এবং বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করা হলে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সমর্থনে সবার জন্য ইন্টারনেট পৌছে দিতে সক্ষম হব।জেইউ/আরএস/এমআরআই

Advertisement