সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে ও বৃহত্তর ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থাকে সুষ্ঠু, পরিকল্পিত, সমন্বিত ও আধুনিকায়ন কারার লক্ষ্যে মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এই মেগা প্রকল্পটি পাঁচটি রুটের মাধ্যমে নগরবাসীর সেবা দেবে। এছাড়া বিমানবন্দর থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত প্রথম পাতালরেল নির্মাণ করা হবে।
Advertisement
রোববার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্পের অধীনে বর্তমানে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ এর কাজ ৮টি প্যাকেজের আওতায় চলছে। তাছাড়া আরও দু’টি এমআরটি লাইন-১ এবং এমআরটি লাইন-৫ নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য সমীক্ষার কাজ চলছে। এই প্রকল্পে উত্তরা ৩য় পর্ব থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আংশিক চালু হবে ২০১৯ সালে এবং উত্তরা ৩য় পর্ব থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত চালু হবে ২০২০ সালে।
সংসদে মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, এমআরটি লাইন-১ নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলমান আছে। বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের জন্য ২০১৭ সালের ২৯ জুন জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশে প্রথম পাতাল রেল নির্মিত হতে যাচ্ছে, যার রুট হবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-খিলক্ষেত-কুড়িল-যমুনা ফিউচার পার্ক-বাড্ডা-রামপুরা-মালিবাগ-রাজারবাগ-কমলাপুর এবং কুড়িল থেকে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পার্শ্ব পর্যন্ত। এর মোট দৈর্ঘ্য হবে ২৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার।
Advertisement
এমআরটি লাইন-১ এর জন্য স্টেশন থাকবে ১৭টি। বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, কুড়িল, নর্দা (যুমনা ফিউচার পার্ক), নতুন বাজার, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ, কমলাপুর, কুড়িল, বসুন্ধরা, মাস্তল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার ও পূর্বাচল টার্মিনালে স্টেশন থাকবে।
মন্ত্রী আরও জানান, এমআরটি লাইন-৫ নির্মাণের জন্যও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। এর (উত্তরাংশ) দৈর্ঘ্য হবে ১৯ দশমিক ৬ কিলোমিটার (এলিভেটেড ৬ কিলোমিটার ও আন্ডারগ্রাউন্ড ১৩ দশমিক ৬০ কিলোমিটার)। রুট হবে হেমায়েতপুর-গাবতলী-টেকনিক্যাল-মিরপুর-১-মিরপুর-১০-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান-ভাটারা এবং গাবতলী-ধানমন্ডি-বসুন্ধরা সিটি-হাতিরঝিল-লিংকরোড পর্যন্ত।
তিনি বলেন, এ রুটে মোট স্টেশন থাকবে ১৪টি। এছাড়া এমআরটি লাইন-৫ (দক্ষিণাংশ) রুট হবে-গাবতলী-ধানমন্ডি-পান্থপথ-হাতিরঝিল-লিংক রোড-নগরপাড়া। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে।
এইচএস/এমএমজেড/জেআইএম
Advertisement