মাইল্ড স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন কি না তা নিশ্চিত হতে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
Advertisement
রোববার সচিবালয়ে অধস্তন আদালতের বিচারকদের ব্যবহারের জন্য প্রাইভেট কার এবং মাইক্রোবাস হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
কারাবন্দি খালেদা জিয়া মাইল্ড স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন : ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ করেছিলেন খালেদা, ধারণা চিকিৎসকের
Advertisement
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খুব সম্ভবত গত পরশুদিন তিনি (খালেদা জিয়া) রোজা রেখেছিলেন। রোজা রাখার পর বিকেল ৩টা সাড়ে ৩টার দিতে হেলে পড়ে যাচ্ছিলেন তখন তার যে একটা লোক আছে ফাতেমা.. সে তাকে ধরে ফেলে এবং তাৎক্ষণিক জেলের ডাক্তাররা তাকে দেখেন। দেখার পর...তিনি যেহেতু রোজা রেখেছিলেন তার সুগার লেভেল কমে গিয়েছিল বলে তারা জানান। একটা চকলেট খাওয়ার পর তা রিভাইভ করে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘তিনি (বেগম জিয়া) ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন বলে গতকাল তার চিকিৎসকরা তাকে দেখেন। তার চিকিৎসকরা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার কথা মতো মনে হয় তার একটা মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল। সেটার পর আজকে তাকে যে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার...যে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয় মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে কি না, সেই ব্যাপারে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নিয়ে যাওয়া হবে বলে আমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন।’
বিএসএমএমইউ-তে খালেদা জিয়াকে কখন নেয়া হবে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সময় জানি না।’
আরও পড়ুন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যেই পরিষ্কার অবহেলা : রিজভী
Advertisement
শনিবার কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পুরনো ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে কারা ফটকের সামনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ করেছিলেন বলে ধারণা তার।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গত ৫ জুন দুপুর ১টার দিকে খালেদা জিয়া হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যান। ৫-৭ মিনিট পর তার জ্ঞান ফিরলেও ওই সময়ের কথা কিছুই মনে করতে পারছেন না তিনি। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যতটুকু বুঝতে পেরেছি তার মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে। আগামীতে বড় ধরনের স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। ওইদিনই তাকে কারাগারে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন : ‘খালেদাকে উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের’
এ মামলায় অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই বন্দী রয়েছেন তিনি।
আরএমএম/এনএফ/জেআইএম