চিকিৎসাশাস্ত্রের একটি মূল কথা হলো, ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর’। তাই স্ট্রোক যাতে না হয় সেজন্য লাইফস্টাইলের পরিবর্তন আনা উচিত। একটি পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় বর্তমানে বিশ্বে বছরে প্রায় ২ কোটি মানুষ ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হন। দৈনন্দিন জীবনযাপনের যে কারণগুলি স্ট্রোকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সেগুলি নিয়ন্ত্রণে না রাখলে মস্তিষ্কের মধ্যে বার বার ছোট ছোট স্ট্রোক হয়। এগুলি হয়তো সব সময় বাইরে থেকে বোঝা যায় না। ছোট ছোট রক্তনালীগুলি আটকে যেতে থাকে। এতে ধীরে ধীরে মানুষের স্মৃতিশক্তি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এ সব কমতে থাকে। বার বার হতে হতে এক সময় মারাত্মক আকারে স্ট্রোক হলে তখন আর রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।
Advertisement
আরও পড়ুন: রোজায় এসিডিটি দূর করবেন যেভাবে
সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন। এর জন্য আমাদের নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজন। এখন ব্যস্ততার মধ্যে শারীরিক ভাবে পরিশ্রম করার প্রবণতা কমে গিয়েছে। তাই কমপক্ষে প্রতি দিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট করে দ্রুত পা চালিয়ে হাঁটা বা যোগাসন করা খুব দরকার।
ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। কারণ, এতে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
Advertisement
ফাস্টফুড বা তৈলাক্ত খাবার না খেয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ সবুজ শাকসব্জি, ফল খাওয়ার প্রয়োজন।
উচ্চ-রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যদি এর জন্য নিয়মিত ওষুধ খাওয়া শুরু হয়ে যায়, তবে ওষুধ বন্ধ করলে চলবে না। এতে স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়।
কোলেস্টেরল বা ডায়াবেটিস থাকলে তাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ভুঁড়ি বাড়তে দিলে হবে না। বেশি মানসিক চাপ না নেয়াই ভালো।
আরও পড়ুন: যে কারণে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করবেন
Advertisement
দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুম আবশ্যিক। স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
আনন্দবাজার/এইচএন/জেআইএম