পাবনা সুগার মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন হিসেবে চিনি দেয়া হয়েছে। গত মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত ৭৬৭ জন শ্রমিক কর্মচারীর বেতন বকেয়া ছিল। সেই বকেয়া বেতন পরিশোধে টাকা না দিয়ে শ্রমিকদের চিনি দিচ্ছে মিল কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
বিষয়টি নিশ্চিত করে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমিসহ সকলে চিনি বিক্রির মাধ্যমে বেতনের ব্যবস্থা করেছি।’
তিন মাসের বকেয়া বেতনের পরিমান প্রায় ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। মিলের মজুদ থাকা প্রায় ১০ হাজার মে.টন চিনির বর্তমান মজুদের মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অর্থের প্রয়োজনে মিলগেটেই একটি সিন্ডিকেটের কাছে বস্তা প্রতি ১৫০-২০০ টাকা লোকশানে চিনি বিক্রির খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, মিলে ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে আছে। মিলগেটে খোলা চিনি প্রতি কেজি ৩৭ টাকা ও প্যাকেট চিনি প্রতি কেজি ৪২ টাকা দরে বিক্রির জন্য নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু চিনি বিক্রি হচ্ছে না। বাজারে আমদানিকৃত চিনি দেশি চিনির থেকে সাদা হওয়ায় মিষ্টি ব্যবসায়ীরা আমদানিকৃত চিনি ক্রয় করে থাকে। দেশি চিনি গুণে ও মানে ভাল হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র রঙ একটু লালটে হওয়ায় তা আশানুরূপভাবে বিক্রি হচ্ছে না।
Advertisement
এ দিকে মিলের শ্রমিকরা বেতনের বিপরীতে টাকার বদলে চিনি নিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে ঈদের আগে অবশিষ্ট বেতন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
মিলের শ্রমিক নেতা শাহিন জানান, এ ভাবে চিনি বিক্রি করতে যেয়ে শ্রমিকদের লোকসান হচ্ছে। লাখে ৪ হাজার টাকা কমে চিনি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে শ্রমিক-কর্মচারীরা।
প্রসঙ্গত, গত দু’বছরও একই পদ্ধতিতে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা হয়েছিল।
আলাউদ্দিন আহমেদ/আরএ/জেআইএম
Advertisement