সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রগতির স্বীকৃতি-স্বরূপ আবারও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পেল বাংলাদেশ। বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় (মেক্সিকোর স্থানীয় সময় ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়) তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রগতির স্বীকৃতি-স্বরূপ এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। তবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এ অ্যাওয়ার্ড গ্রহন করার কথা থাকলেও অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকত মোঃ আবু নাছের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের অগ্রগতিতে অনন্য অবদানের জন্য মেক্সিকোর গুয়াদালাজারা শহরে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনে (ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন আইটি - ডব্লিওসিআইটি) আনুষ্ঠানিকভাবে “পাবলিক সেক্টর এক্সিলেন্স” ক্যাটাগরিতে “গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড” দেয়া হয়।এর আগে গত ১০ জুন সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় আর্ন্তজাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা (আইটিইউ) ই-সেবাই অনন্য অবদান রাখায় এবং জনগণের দোরগোড়ায় প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন(এটুআই) প্রকল্পকে ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্যা ইনফরমেন সোসাইটি (ডব্লিওএসআইএস) ক্যাটাগরিতে ডব্লিওএসআইএস+১০ পুরস্কার প্রদান করে।এ পুরস্কার গ্রহণের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশর যে স্বপ্ন দেখিয়ে আমাদেরকে একটি আধুনিক ও স্বনির্ভর জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর প্রেরণা যুগিয়েছেন, এ পুরস্কার তাঁর সে প্রেরণাদায়ী দৃষ্টিভঙ্গিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার যুগোপযোগী নেতৃত্ব ও তাঁর সুযোগ্য দৌহিত্র, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্ঠা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সার্বিক দিকনির্দেশা ও প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে ডিজিাটাল বাংলাদেশের গন্তব্যে আমরা প্রতিনিয়তই এগিয়ে যাচ্ছি। তথ্য-প্রযুক্তির অগ্রগতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাঁড়া দেয়ায়, এ পুরস্কার বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের বিজয় বলে আমি মনে করি।ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (WITSA)’র ৮০টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের উদ্ভাবনী কাজের জন্য এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। পাবলিক সেক্টর এক্সিলেন্স, প্রাইভেট সেক্টর এক্সিলেন্স, ডিজিটাল অপরচ্যুনিটি ও সাসটেইনেবল গ্রোথ ক্যাটাগরিতে প্রতি দু’বছর অন্তর অন্তর এ পুরস্কার দেয়া হয়।
Advertisement