শেরপুরে পুলিশ কাস্টডি থেকে আদালতে নেয়ার সময় হাতকড়া খুলে পালানো হত্যা মামলার মামলার আসামি হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজুলকে (৩০) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের টঙ্গি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। রোববার দুপুরে রিমান্ড আবেদনসহ পুলিশ তাকে বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করেছে। গ্রেফতারকৃত হাফিজুল শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।শেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. শাহজাহান মিয়া হাতকড়া খুলে পালিয়ে যাওয়া আসামি হাজিফুলকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাকে টঙ্গি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে নালিতাবাড়ীর নন্নী এলাকায় ইজিবাইক চালক ওমর আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি। গত ২৫ মে ওই হত্যা মামলার ধার্য তারিখে তাকে অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে পুলিশ কাস্টডি থেকে বিচারিক হাকিমের আদালতে নেয়ার সময় হাফিজুল হাতকড়া খুলে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার দায়ে ৪ পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।ডিবির পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম জানান, পালিয়ে যাওয়ার পর হাফিজুল ছদ্মবেশে টঙ্গি রেলস্টেশন এলাকায় গিয়ে কুলির কাজ করছিল। গোয়েন্দা সোর্সের মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগেও ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় সে ছদ্মবেশে কুলির কাজ করার সময় ধরার চেষ্টা করলে সে কৌশলে পালিয়ে যায়। নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফসিহুর রহমান জানান, গত ৩১ মার্চ রাতে মধুটিলা ইকোপার্ক থেকে নন্নী আসার পথে অটোরিকশা যাত্রী হাফিজুল তার দুই সহযোগীকে নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে কিল-ঘুষিতে হত্যা করে ওমর আলীকে। পরে তার মরদেহ রাস্তার পাশে ফেলে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা হাফিজুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে নিহতের ছেলে আশরাফুল আলম বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তারপর থেকেই সে কারাগারে ছিল। ওই মামলায় আদালতে আসামি হাফিজুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। ইতোমধ্যে ৪ জনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। কিন্তু গত ২৫ মে আসামিদের আদালতে হাজির করার ধার্য তারিখে হাফিজুল আদালত চত্বর থেকে কৌশলে হাতকড়া খুলে পালিয়ে যায়। হাকিম বাবুল/এসএস/আরআইপি
Advertisement