অর্থনীতি

ব্যাংকিং খাতে কর কমানো অযৌক্তিক : সিপিডি

নৈরাজ্যের মধ্য দিয়ে চলছে দেশের ব্যাংকিং খাত। এ অবস্থায় প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংকের কর্পোরেট কর কমানো অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় সিপিডির কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংস্থার ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বাজেটে নতুন কোনো চমক নেই। চলতি অর্থবছরে যা ছিল প্রস্তাবিত বাজেটেও তাই রয়েছে। অর্থাৎ পুরন কাঠামো ও চিন্তার মধ্যেই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। তাই এ বাজেটকে স্থিতাবস্থার বাজেট বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট কর আড়াই শতাংশ কমনোর প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন তিনি।

সিপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, আগার্থবছমী অরের বাজেটে কর্পোরেট কর কমানোর ফলে মালিকপক্ষ বেশি লাভ হবে। কর কমানোর পেছনে যৌক্তিক ও প্রশাসনিক কোনো কারণ দেখছি না। ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্যের মধ্যে এ ধরনের কর্পোরেট কর ছাড় দেয়া ঠিক হয়নি।

রোহিঙ্গাদের জন্য কি পরিমাণ অর্থ খরচ হচ্ছে সেরকম কোনো আর্থিক মূল্যায়ন করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের ওপর চাপ কমিয়ে ব্যাংকিং খাতকে চাঙ্গা করা উচিত ছিল। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেট দেখে মনে হচ্ছে সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকতে হবে। সিপিডির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল চাল আমদানি ওপর শুল্ক বসাতে হবে, এবার সেটি হয়েছে। সিপিডি খুশি হয়েছে। কেননা কৃষক এতে লাভবান হবে।

'সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ' নাম দিয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটের আকার বেড়েছে মাত্র ৬৮ হাজার কোটি টাকা। নির্বাচনী বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা।

Advertisement

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে তিন লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড উৎস হতে দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা (জিডিপির ১১ দশমিক ৭ শতাংশ) সংগ্রহ করা হবে। বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং জিডিপি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এসআই/এএইচ/জেআইএম