সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিংসা ও ঘৃণাত্মক বার্তা ছড়ানোর অভিযোগে মিয়ানমারের উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের একটি গ্রুপ ও দু'জন সন্ন্যাসীকে কালো তালিকাভূক্ত করেছে ফেসবুক। উসকানিমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থানের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে জনপ্রিয় এ সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
Advertisement
প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের দেশ মিয়ানমারে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক কোটি ৮০ লাখ। জাতিসংঘের তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশটিতে বিষ ছড়িয়েছে ফেসবুক। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণাত্মক বক্তব্য-বিবৃতি ও উসকানির কারণে রাখাইনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইনে শুরু হওয়া দেশটির সেনাবাহিনীর কঠোর অভিযানে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছেন। সংখ্যালঘু এই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে ক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়ায় দেশটির কট্টরপন্থী উগ্রবৌদ্ধদের গ্রুপ 'মা বা থা' এর বেশিরভাগই ফেসবুক ব্যবহার করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন : ‘এটা গণহত্যা নয়’ : মা বা থা
Advertisement
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চলতি সপ্তাহে ফেসবুকের উচ্চ-প্রতিনিধিদল মিয়ানমার সফরে আসার কথা রয়েছে।
সংখ্যালঘু জাতি ও ধর্ম সুরক্ষায় উগ্র ও কট্টরপন্থী বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীদের সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য প্রোটেকশন অব রেস অ্যান্ড রিলিজিয়ন স্থানীয়ভাবে ‘মা বা থা’ নামে পরিচিত। সংস্থাটির প্রধান সন্ন্যাসী থ্য পারকা।
ফেসবুকে এই উগ্রপন্থী মা বা থা'র একটি গ্রুপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণাত্মক বার্তা ছড়ানোর দায়ে দেশটির ব্যাপক পরিচিত দুই সন্ন্যাসীকেও নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুক।
জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কনটেন্ট পলিসি ম্যানেজার ডেভিড ক্যারাগলিয়ানো বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ফেসবুকে তাদের উপস্থিতির অনুমোদন নেই। যেকোনো অ্যাকাউন্ট থেকে এসব ব্যক্তি অথবা সংস্থার প্রতি সমর্থন অথবা প্রশংসা করে পোস্ট দেয়া হলে অথবা প্রতিনিধিত্ব করলে আমরা তা মুছে ফেলবো।
Advertisement
গত জানুয়ারিতে উগ্রপন্থী সন্ন্যাসী উইরাথুকে নিষিদ্ধ করে ফেসবুক। এবার এই নিষিদ্ধের তালিকায় যোগ হয়েছে পারকা ও থুসেইত্তা নামের আরো দুই উগ্রপন্থী বৌদ্ধ সন্ন্যাসী।
এসআইএস/জেআইএম