আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের ইফতারে দাওয়াত পায়নি বৃহত্তম মুসলিম সংগঠনগুলো

প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউসে ইফতার করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রমজান উপলক্ষে ট্রাম্প নিজেই এই ইফতারের আয়োজন করেন। বুধবার ইফতারের পাশাপাশি হোয়াইট হাউসে নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়।

Advertisement

দীর্ঘদিনের পরম্পরা ভেঙে হোয়াইট হাউসে মুসলিমদের সম্মানে দেওয়া ইফতারের আয়োজন থেকে বিরত থেকেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দীর্ঘদিন ধরেই হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করে আসছে হোয়াইট হাউস।

কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর গত বছর ইফতারের আয়োজন থেকে বিরত থাকেন ট্রাম্প। কিন্তু গতবার বিরত থাকলেও এবার ঠিকই হোয়াইট হাউসে মুসলিমদের সম্মানে ইফতারের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় ট্রাম্প প্রশাসন।

নৈশভোজের সময় রমজানের তাৎপর্য তুলে ধরে মধ্যপ্রাচ্যে সহযোগিতার আহ্বানকে পুনরায় মনে করিয়ে দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আজ রাতে আমরা হোয়াইট হাউসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ নৈশভোজ উপভোগ করছি।

Advertisement

ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলেই কেবল আমরা সবার জন্য নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ অর্জন করতে পারব। রমজান মাসের অনুগ্রহ এবং শুভেচ্ছার কথাও স্মরণ করেন তিনি।

ইফতারকে বিশ্বের অন্যতম মহান ধর্মের পবিত্র ঐতিহ্য উল্লেখ করে ট্রাম্প মহানুভবতা ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করেছেন। তবে দেশটির বেশ কিছু বৃহত্তম মুসলিম সংগঠনগুলো বলছে, ট্রাম্পের ওই ইফতারের অনুষ্ঠানে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

ইসলামিক সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকা (আইএসএনএ) এবং কাউন্সিল অব আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স দু’টি সংস্থাই জানিয়েছে, ইফতারের অনুষ্ঠানে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আইএসএনএ-এর আন্তঃধর্মীয় পরিচালক কোলিন ক্রিসটোফার হাফপোস্টকে জানিয়েছেন, তার বিশ্বাস অতিথির লিস্টে মুসলিম দেশগুলোর কূটনীতিকদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সসহ ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই ইফতারে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সংযুক্ত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তিউনিশিয়া, কুয়েত, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান এবং অন্যান্য মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূতরাও ইফতারের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

টিটিএন/পিআর