নতুন করে আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার (৬ জুন) মন্ত্রণালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব জিন্নাত রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত দুটি আলাদা আলাদা নির্দেশনা জারি করা হয়। এ নিয়ে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াল ১০৩টি। নতুন অনুমোদন পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি’। প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে প্রকৌশলী এ কে এম মোশাররফ হোসাইনের নাম রয়েছে। এটির অস্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ঢাকার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স ভবন, ৭৯ মহাখালী সি/এ, ঢাকা ১০০০ উল্লেখ করা হয়েছে। অপরটি হচ্ছে ‘ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি’। এটির ঠিকানা দেয়া হয়েছে এমকে হাউজ, নবগ্রাম রোড, বরিশাল। প্রতিষ্ঠাতা কাজী শফিকুল আলম। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর ৩৬ ধারা অনুযায়ী, শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশ্রুতিতে এবং একই আইনের ৭ এর ১ ও ২ ধারা অনুযায়ী ২৩টি শর্তে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দুটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শর্তগুলোর অন্যতম প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবন, কমপক্ষে তিনটি অনুষদ ও ছয়টি বিভাগ, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, ছাত্রছাত্রীদের জন্য কমনরুম, সেমিনার কক্ষসহ পর্যাপ্ত অবকাঠামো থাকতে হবে। পূর্বানুমোদন ছাড়া বিভাগ খোলা যাবে না।
Advertisement
এছাড়া প্রতিটি বিভাগে শর্ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক পূর্ণকালীন শিক্ষক থাকতে হবে। আচার্যের (রাষ্ট্রপতি) পূর্ব অনুমোদন ছাড়া বিদেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা যাবে না। আরোপিত শর্তগুলো ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামায় দিতে হবে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় দুটি স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত ২৯ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। ঢাকায় আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন না দেয়ার ব্যাপারে সরকারের একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল। তা লঙ্ঘন করে গত ২৯ জানুয়ারি ‘জেড এন আর এফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়’ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গুলশানে এটি স্থাপন করা হবে। এর উদ্যোক্তা ড. এম জুবায়দুর রহমান।
এর আগে গত এপ্রিলে দুই দফায় চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়া হয়। সরকারের শেষ সময়ে আরও কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয়া হতে পারে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এগুলোর প্রতিটির পেছনে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা রয়েছেন বলে জানা গেছে।
Advertisement
এমএইচএম/এসআর/পিআর