অর্থনীতি

রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা

২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের (২০১৮-১৯ অর্থবছর) অর্থবিলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ প্রস্তাব করেছেন।

Advertisement

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সংসদে এ বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বাংলাদেশের এটি ৪৭তম বাজেট এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ১৯তম। আর অর্থমন্ত্রী হিসাবে আবুল মাল আবদুল মুহিতের ১২তম বাজেট।

‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ নামে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী। গত বছরের চেয়ে এ বছর বাজেটের আকার বাড়ছে মাত্র ৬৮ হাজার কোটি টাকা। নির্বাচনী বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা।

Advertisement

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড উৎস হতে ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা (জিডিপির ১১ দশমিক ৭ শতাংশ) সংগ্রহ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, রাজস্ব আদায়ের এ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত। কারণ, ইতোমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জনবল ও কর্মপদ্ধতিতে ব্যাপক সংস্কার সাধন করা হয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক অবস্থানে রয়েছে। কর পরিপালনের প্রবণতা দেশে বর্তমানে বেশ উচ্চমানের এবং এ প্রবণতা অব্যাহত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।

এনবিআর বহির্ভূত সূত্র হতে কর রাজস্ব প্রাক্কলন করা হয়েছে ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা (জিডিপির ০.৪ শতাংশ)। এছাড়া কর-বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আহরিত হবে ৩৩ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা (জিডিপির ১.৩ শতাংশ)।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। সংশোধন করে তা ৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকায় নামানো হয়।

Advertisement

এসআই/আরএস/আরআইপি