ভোলায় সমঝোতা বৈঠক শেষে রোববার দুপুরে বাস ধর্মঘট ও অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাস মালিক-শ্রমিক সমিতি। দুপুর সোয়া ২টায় বাস চলাচল শুরু হলে ২ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট কমতে শুরু করে। ফেরি বন্ধ থাকায় দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রাখার দাবিতে শনিবার সকাল থেকে সড়ক অবরোধ ও অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘটের ডাক দেয় লোকাল বাস-মিনিবাস মালিক ও শ্রমিক সমিতি। আটকা পড়ে কয়েকশ বাস-ট্রাকসহ যানবাহন। হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। হাজার হাজার মানুষকে জিম্মি করে বাস মালিক সমিতির এমন আন্দোলনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ভোলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। প্রবীণ সাংবাদিক আবু তাহের জরুরি কাজে যেতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমন ক্ষোভের কথা জানান, কলেজ শিক্ষক নাছিমা বেগম, ফিরোজা বেগম, কুষ্টিয়া থেকে মালামাল নিয়ে আসা চরফ্যাশনগামী ট্রাক চালক মহসিনসহ কয়েকশ যাত্রী। জেলা পরিষদ প্রশাসক আব্দুল মমিন টুলুর অফিস কক্ষে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, দূরপাল্লার বাস মালিক সিমিতি ও স্থানীয় আন্দোলনকারী বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ত্রি-পক্ষীয় সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মেঘনার ভাঙনে সড়ক ধসে যাওয়ায় ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ওই ফেরি চলাচল স্বাভাবিক না হতে চট্টগ্রাম থেকে ভোলার চরফ্যাশন পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ রাখার প্রস্তাব করেন স্থানীয় বাস মালিক সমিতির নেতারা। দূরপাল্লার বাস মালিকরা ওই প্রস্তাব মেনে নেয়ায় বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন স্থানীয় বাস মিনিবাস মালিক সমিতি। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক আব্দুল মমিন টুলু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফ উদ্দিন শাহীন, দূরপাল্লার ভোলা ট্রান্সপোর্টের পরিচালক আবু মিয়া, ভোলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. রুহুলামিন মিয়া, ওই সংগঠনের সম্পাদক আবুল কালাম প্রমুখ । অমিতাভ অপু/এমজেডি/আরআইপি
Advertisement