গুরুত্বপূর্ণ এক ভেষজ বর্ষজীবী উদ্ভিদ লতাকস্তরী। এই উদ্ভিদ থেকে তৈরি হচ্ছে ক্যান্সারের ওষুধ। মূল্যবান উদ্ভিদটি নামমাত্র পরিচর্যায় আবাদ করা যায় যে কোনো পতিত জমিতে। পরিকল্পিত চাষে আমদানি নির্ভরতাও কমিয়ে আনা যায়।
Advertisement
লতাকস্তরী কীএটি উচ্চতায় ৩ ফুটের বেশি বাড়ে না। ডাঁটা শক্ত ও সরু লোমে ঢাকা। পাতা দেখতে হৃৎপিণ্ডের মতো। পাতার উভয় দিক লোমে ঢাকা। ফুল ৩-৪ ইঞ্চি লম্বা হয়। ডালের একেবারে অগ্রভাগে জন্মায়। দেখতে উজ্জ্বল পীতবর্ণ। তবে ফুলের মাঝখানের রং বেগুনি। ফুলের বোঁটা শক্ত এবং বাঁকানো। ফুলের বাইরের দিকটা সবগুলো সমান এবং বলের মতো।
আরও পড়ুন- টবে মিশরীয় ডুমুর চাষ করবেন যেভাবে
উপকারিতা১. বর্তমানে এ ভেষজ উদ্ভিদের বীজ দিয়ে ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি হচ্ছে। ২. বদহজম বা পেটে বায়ুর চাপ বেড়ে পেট ফেঁপে গেলে গাছের শুকনো বীজ ১ গ্রাম ভালোভাবে গুঁড়ো করে আধা গ্লাস ঠান্ডা পানির সঙ্গে খেলে উপকার হয়। ৩. লতাকস্তরীর বীজের গুঁড়ো ৩ গ্রাম এবং গাভির কাঁচা দুধ ৩-৪ চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে পাঁচড়ায় লাগালে ভালো হয়ে যায়। ৪. দাদের ওপর প্রলেপ দিলেও উপকার পাওয়া যায়। ৫. শ্লেষ্মা বা প্রবল ঠান্ডা লেগে মুখের ভেতর অর্থাৎ জিভ এবং গলাতে ক্ষত বা নীল রঙের ফোসকা পড়লে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ১ কাপ ঠান্ডা পানিতে বীজের গুঁড়ো ৩-৪ গ্রাম মিশিয়ে সেই পানিতে কুলি করলে ক্ষত সেরে যায়।
Advertisement
এসইউ/জেআইএম