আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল তথা ইউরোপ, লাতিন আমেরিকার দেশগুলো যতটা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে এশিয়ান দলগুলো তার সিকিভাগ আলোচনাতেও থাকে না। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপকে ঘিরে এশিয়ান দলগুলো বেশ শক্তিশালী দলই গড়েছে। এবং প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছে বিশ্বকাপে বহুদূর যাওয়ার। এশিয়ানদের ভেতরে শেষের দিকে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ করে নেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। আর সেই দেশটিই এখন ইতিহাস গড়ার সামনে দাঁড়িয়ে।
Advertisement
রাশিয়া বিশ্বকাপের মধ্য দিয় পঞ্চমবার এই টুর্নামেন্টে খেলতে যাচ্ছে সৌদি আরব। কিন্তু কোনবারই ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারেনি তারা। নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে তারা দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলেও সেখানেই জলাঞ্জলি দিতে হয় তাদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। কিন্তু এবার হয়ত অনন্য এক ইতিহাসের মাধ্যমে সবার মনে জায়গা করে নিতে যাচ্ছে দেশটি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম কোন এশিয়ান দেশ হিসেবে উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামার সুযোগ হচ্ছে সৌদি আরবের। সৌদির আগে আর কোন এশিয়ান দেশরই উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি।
প্রথম দিন মাঠে নামলেও সৌদি আরবের ফর্ম, র্যাংকিং ও গ্রুপের প্রতিপক্ষের বিবেচনায় আরো একটি হতাশাজনক বিশ্বকাপ কাটানোর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে তারা। গ্রুপ ‘এ’ তে সৌদি আরবের সঙ্গে স্বাগতিক রাশিয়া ছাড়াও রয়েছে মোহামেদ সালাহর মিশর এবং লুইস সুয়ারেজের উরুগুয়ে। ১৯৯৮ ও ২০০৬ বিশ্বকাপে ২৮তম হয়েছিল সৌদি আরব এবং ২০০২ বিশ্বকাপে ৩২তম হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল তারা।
আরআর/এমএস
Advertisement