আজ মহাসপ্তমী। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং বিশ্বের সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনায় সকাল পৌনে ৯টায় শুরু হয়েছে মহাসপ্তমী পূজা।শুরুতেই দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ। এরপর কল্পনার মধ্য দিয়ে মাকে (দেবী) মনের আসনে বসানো হয়। বিধান অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে বিহিত পূজা।আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। শুক্রবার দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয়া দুর্গোৎসব।রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের পরিচালক স্বামী ধ্রুবেশুন্দ বলেন, ঈশ্বর সবকিছুর মাঝে রয়েছেন। প্রকৃতির বিভিন্ন সৃষ্টির মধ্য নয়টি গাছের ফুল, ফল, পাতা দিয়ে সব অশুদ্ধকে শোধন করে শুদ্ধ করে মাকে পূজা করা হবে।মহাসপ্তমী দিনে দুপুরে দুস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করবে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে আরতি প্রতিযোগিতা।বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি পরিষদ সভাপতি কাজল দেবনাথ বলেছেন, সকল কুচক্রী এবং অশুভ শক্তি বিনাশ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে যেন গড়ে তুলতে পারি এটাই আমাদের প্রার্থনা।সোমবার সায়াংকালে দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে সায়াংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ষষ্ঠী। আজ বুধবার মহাসপ্তমী। কাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে মহা অষ্টমী পূজা। শুক্রবার একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে মহানবমী এবং বিজয়া দশমী পূজা।
Advertisement