রাজধানীর কুড়িলের বসুন্ধরা গেট এলাকায় দেওয়ান পরিবহনের বাসের কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দিলেও থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) কিংবা মামলা করেননি।
Advertisement
ওই ছাত্রী দাবি করেন, শনিবার বসুন্ধরা গেট থেকে রামপুরা-বনশ্রী যাওয়ার উদ্দেশে তিনি দেওয়ান পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। বাসটি প্রায় খালি ছিল। তাই তিনি নেমে যেতে চান। নামার জন্য দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ান তিনি। কিন্তু বাসটি তাকে না নামিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল এবং বাসের কন্ডাক্টার তার পেছনের দিকে হাত দেয়। এ সময় সঙ্গে সঙ্গে বাস থেকে লাফ দেন তিনি।
এদিকে মেয়েটির ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশের গুলশান বিভাগ। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেন তারা।
বাড্ডা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে মেয়েটিকে বাসে চড়তে এবং তিন সেকেন্ডের মধ্যে বাস থেকে লাফ দিতে দেখা গেছে। পরে দুইপক্ষকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
Advertisement
এ বিষয়ে পুলিশের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আশরাফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি শোনার পর থেকেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আমাদের হাতে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। দুইপক্ষ আমার অফিসেই আছেন। এখানে একটি ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি যে, মেয়েটি বনশ্রী যাওয়ার জন্য দেওয়ান পরিবহনের বাসে ওঠে। কিন্তু বাসটি আজিমপুর রুটের। মেয়েটি একথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে নেমে যেতে চায়, কিন্তু সামনে সার্জেন্ট ছিল বলে বাসচালক বাস থামায়নি। এ সময় একটি ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। আমাদের ধারণা, খালি মেয়েটি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করে বাস থেকে লাফ দেয়। দুপক্ষের শুনানিতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। আমরা মেয়েটিকে জিডি অথবা মামলা করতে বলেছি, তবে সে তা করতে রাজি হয়নি।
এ ঘটনায় এআইউবির পরিচালক (জনসংযোগ) লুৎফুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রী আমাদের বিষয়টি জানিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা তার বিভাগের (কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মকর্তাকে নিয়ে বৈঠক করেছি। পরিবহন কর্তৃপক্ষকে ডাকা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে তা নিয়ে পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
তবে ঘটনাটি একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
এমএইচএম/এআর/বিএ/আরআইপি
Advertisement