শেষ পাতে যেমন মিষ্টিমুখ দরকার তেমনই সাজের ক্ষেত্রেও একটা ছোট্ট টিপ না হলে চলে না। সাজের পরিপূর্ণতায় টিপ কিন্তু একেবারে শেষ পাতে মিষ্টি দই। বিশেষকরে বাঙালিদের ক্ষেত্রে নারীর সাজের ক্ষেত্রে সৌন্দর্যের ঐতিহ্যই হচ্ছে শাড়ি। তাই, উৎসব এর আমেজে শাড়ী না পরলে আনন্দটাই যেন ম্লান হয়ে যায়। এই শাড়ীর সাথে হাত ভর্তি চুড়ি আর কপালে একটা টিপ। এই সাজই বাঙালি নারীদের অন্যন্য জাতি থেকে আলাদা করে তোলে। কপালের একটা টিপ সাধারণ একটি সাজের মধ্যেও যেন অসামান্যতা নিয়ে আসে। ভেবে দেখুন না, সেই বিয়ের কনে থেকে শুরু করে কবিতা গল্প উপন্যাসের সব কবিরাই তাদের নায়িকাদের সৌন্দর্যের বর্ণনা পরিপূর্ণ করতে গিয়ে কপালের মাঝের টিপ এর গুরুত্ব তুলে ধরেছে। কপালের এই একটুখানি রঙিন আভাই যেনো সাজে নিয়ে আসে পরিপূর্ণতা।টিপ শুধু শাড়ি নয়, সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই পরা যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে তা যেনো চেহারা ও পোশাকের সঙ্গে মানানসই হয়। যাদের চেহারা একটু গোল তাদের ক্ষেত্রে লম্বা টিপ পরলে ভাল দেখাবে। আবার যাদের চেহারার ধাঁচ লম্বাটে ধরনের তারা গোল টিপ পরলে ভাল দেখাবে। কিন্তু পোশাকের সাথে মিলিয়ে আবার এই টিপ এর ধরন আলাদাও হতে পারে।যারা লম্বা টিপ পছন্দ করে তারা কাপড়ের ধরন অনুযায়ী টিপ নির্বাচন করুন। সুতি কাপড়ের ক্ষেত্রে মাঝারি সাইজের গোল টিপ ব্যাবহার করা যেতে পারে। চাইলে টিপ এর রঙ ড্রেস এর রঙ এর সাথে মিলিয়ে ও পরতে পারেন অথবা কালো রঙ নির্বাচন করতে পারেন। এটা প্রায় সব রঙ এর পোশাকের সাথেই মানিয়ে যায়।বিয়ের সাজের ক্ষেত্রে লাল টিপ এর গুরুত্ব অপরিসীম। সেই প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বিয়ের কনে লাল টিপ ছাড়া অপূর্ণ। কিন্তু ইদানিং বিয়ের সাজের ক্ষেত্রে ভারী কাজের শাড়ি ব্যাবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে পাথর বসানো লম্বাটে টিপ ও বিভিন্ন ধরনের অর্নামেন্টাল টিপ ও অনেক মানানসই হবে। আবার বেনারসির সাথে লাল গোল টিপ ও অনেক ভাল লাগবে।জর্জেট অথবা সিল্ক এর শাড়ির সাথে টিপ পরলে একটু ছোট কালো টিপ পড়া যেতে পারে। কিন্তু সুতি শাড়ীর সাথে মাঝারী অথবা মাঝারী থেকে একটু বড় টিপ পরা যায়। সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যাদের কপাল আকারে ছোট, তারা ছোট টিপই বেছে নিন আর যাদের কপাল বড়, তারা একটু বড় বা মাঝারি সাইজের টিপকে প্রাধান্য দিন। একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে কানে বড় দুল পরলে সে ক্ষেত্রে ছোট আকারের টিপ নির্বাচন করুন। এতে সাজে পরিপুর্নতা আসবে।
Advertisement